এবার মেজাজ দেখাল গজরাজ। আর সেই মেজাজ দেখে চমকে গেলেন গ্রামবাসীরা। আগে কখনও এমনটা দেখেননি তাঁরা। এই গজরাজ সাতসকালে চা–বাগানের মধ্যে চলে আসে। আর একটি হাতিকে দেখে আতঙ্কে পড়ে যান চা–বাগানের শ্রমিকরা। তবে ওই হাতি কারও ক্ষতি করেনি। নিজেই চা–বাগানের মাঝে এসে দাপিয়ে বেড়াল। আবার নদীতে স্নান করে ফিরে গেল বনে। এই বিষয়টি দেখে অনেকে মোবাইলে তুলে রাখেন। সেটিই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। হাতির চলাচল দেখে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও পরে সাহস করে গোটা ঘটনা চাক্ষুষ করেন।
এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের মানুষজন ভিড় জমাতে শুরু করেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের মাল ব্লকের মিনগ্লাস চা–বাগানের ৯ নম্বর সেকসনে। তখন শ্রমিকরা কাজে গেলে হঠাৎ এমন দৃশ্য দেখতে পান। চা–বাগানের মাঝে হাতিটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চমকে ওঠেন সকলে। তখন গ্রামের বাকিদের খবর দেওয়া হয়। হাতি দেখে মানুষের ভিড় জমে যায়। মানুষের চিৎকার ও কোলাহল শুনে হাতিটি এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। তখনই অনেকে মোবাইলে ছবি তুলতে থাকেন। কেউ তাড়াতে চেষ্টা করেন।
কিন্তু ওই হাতিটিকে কোনওভাবেই নিরস্ত করা যায়নি। সে নিজের আপন মনে দাপিয়ে বেড়ায়। আর ছুটে খেলা করতে থাকে। তখন গ্রামবাসীরা বোঝেন যে, এই হাতি কারও ক্ষতি করবে না। বরং বিনামূল্যে খেলা দেখা যাবে। আর এটা দেখতেই টাকা খরচ করে সার্কাসে বা চিড়িয়াখানায় যেতে হয়। কিন্তু তা বলে কি লোকালয়ে থেকে যাবে গজরাজ? এই প্রশ্ন উঠতে থাকে সকলের মনে। তখন খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। তারপর ঘটনাস্থলে আসেন বন দফতরের কর্মীরা। কিছুক্ষণ চা–বাগানে অবস্থান করে হাতিটি আবার ভুট্টাবাড়ি বনাঞ্চলের ভিতরে চলে যায়।তবে যাওয়ার আগেও আনন্দ দিয়ে যায় গ্রামবাসীদের।
আরও পড়ুন: ‘যোগ্যতমের নাম শুভেন্দু অধিকারী’, বাকি নেতাদের পিছনে ঠেলে দিলেন তথাগত রায়
বন দফতরের কর্মীদের বিশেষ পরিশ্রম করতে হয়নি। এই হাতিটি যে দলছুট হয়ে চলে এসেছে পাশের সাইলি চা–বাগানের চেল লাইন শ্রমিক মহল্লা এলাকায় সেটা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। ওই দলছুট হাতি তার শুঁড়ে করে জল নিয়ে ছেটাতে থাকে। হাতি যখন এই কাণ্ডকারকানা করছে তখন তা বহু মানুষই স্মার্টফোনে বন্দি করে রাখেন। এটা করতেও ভিড় জমে যায়। তখন হাতিটি বেশ কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর পাশের চেল নদীতে নেমে স্নান করে। শুঁড় দিয়ে নদীর জল দিয়ে গা ভিজিয়ে নেয়। তার পর সবাইকে লম্বা আওয়াজ শুনিয়ে আবার বনে ফিরে যায়।