সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদে তাণ্ডব চলেছিল ১১ এবং ১২ এপ্রিল। এর মধ্যে ১২ এপ্রিল জাফরাবাদে খুন করা হয়েছিল হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাস। সেই খুনের ঘটনার তদন্তে ফের বড় সাফল্য পেল পুলিশ। এই ঘটনায় চতুর্থ গ্রেফতারি হল। ধৃতের নাম জিয়াউল শেখ। পাশের সুলিতলা পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সে। এই খুনের ঘটনায় এমনিতে পুলিশের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল স্থানীয়রা। অভিযোগ, হিংসা চলাকালীন ঘণ্টার পর ঘণ্টা পুলিশকে ফোন করা হয়েছিল। তবে কেউ আসেনি সেদিন। তবে সেই পুলিশই এখন খুনের তদন্তে নেমে একের পর এক দোষীকে গ্রেফতার করছে। (আরও পড়ুন: দেশে 'ধর্মীয় যুদ্ধের' জন্য দায়ী সুপ্রিম কোর্ট? সাংসদের মন্তব্য নিয়ে কী বলল BJP)
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে হামলা চালাতে চেয়েছিল মার্কিন মুলুকে ধৃত খলিস্তানি জঙ্গি: UP পুলিশ
পুলিশি সূত্রকে উদ্ধৃত করে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ধৃত জিয়াউল শেখ স্থানীয়দের একাংশকে উস্কানি দিয়েছিল এবং এই হামলার অন্যতম মূল 'উদ্যোক্তা' ছিল। হিংসার ঘটনার পরই এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল সে। সম্প্রতি তাকে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারির সংখ্যা ২৭৬।
এদিকে জিয়াউল শেখের গ্রেফতারির কথা নিশ্চিত করে মুর্শিদাবাদের ডিআইজি সৈয়দ ওয়াকার রাজা জানান, পুলিশ বিভিন্ন ডিজিটাল তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পেরেছে খুনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল জিয়াউল। এদিকে উল্লেখ্য বিষয়, এখনও পর্যন্ত ছেলে-বাবা খুনে যত জন গ্রেফতার হয়েছে, তারা সকলেই আশেপাশের বাসিন্দা। এর আগে মুর্শিদাবাদ হিংসায় 'আন্তর্জাতিক যোগ' নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে তিনি বিএসএফের দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ করেছিলেন, বিদেশি জঙ্গিদের সীমান্ত পার করে ঢুকতে সাহায্য করেছিল বিএসএফ। তবে পুলিশের জালে ধরা পড়া সবাই স্থানীয় আশেপাশের গ্রামেরই। এই নিয়ে গতকাল বিজেপির সুকান্ত মজুমদারও সরব হয়ে দাবি করেছিলেন, স্থানীয়রাই এই হামলার নেপথ্যে আছে। এই আবহে পুলিশের তদন্তে মমতারই অভিযোগ 'ভুল' বলে প্রমাণিত হচ্ছে এখনও পর্যন্ত। অবশ্য মমতা নিজে এই তত্ত্ব নিয়ে সরব হয়েছিলেন এএনআই-এর এক রিপোর্টকে হাতিয়ার করে। সেই রিপোর্টে আবার দাবি করা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাই নাকি আন্তর্জতিক যোগের খোঁজ পেয়েছে মুর্শিদাবাদ কাণ্ডে।