ওই সেনা জওয়ান মুর্শিদাবাদের রানীনগরের সীমান্তবর্তী কাহারপাড়া লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি পানাগড় ১৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ইন্ডিয়ান আর্মিতে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ ১১ বছর তিনি সেনাবাহিনীতে ছিলেন। গত ৭ জানুয়ারি তিনি পানাগড়ে নিজের অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করে ডিউটিতে যাচ্ছিলেন।
মৃত সেনা জওয়ান। নিজস্ব ছবি
পানাগড়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ভারতীয় সেনা জওয়ানের দেহ ফিরল মুর্শিদাবাদের রানীনগরের বাড়িতে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। মৃত সেনা জওয়ানের নাম নিমাই চৌধুরী। বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে তিনি বাইকে করে যাওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ওই জওয়ান। গতকাল রাতে তাঁর দেহ বাড়িতে পৌঁছয়। এদিন তাঁকে দেখতে ভিড় করেন বহু মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সেনা জওয়ান মুর্শিদাবাদের রানীনগরের সীমান্তবর্তী কাহারপাড়া লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি পানাগড় ১৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ইন্ডিয়ান আর্মিতে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ ১১ বছর তিনি সেনাবাহিনীতে ছিলেন। গত ৭ জানুয়ারি তিনি পানাগড়ে নিজের অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করে বাইকে করে ডিউটিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় মোটর চালিত ভ্যানের সঙ্গে তাঁর বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ লাগে। ঘটনায় নিমাই চৌধুরীকে গুরুতর জখম অবস্থায় আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। তিনদিন পর গত সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর মৃত্যুর খবর পৌঁছয় গ্রামের বাড়িতে। এরপরেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিজের গ্রাম কাহারপাড়া লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় সেনা জওয়ানের দেহ ফিরতেই শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। নিমাই চৌধুরীকে শেষ বারের মতো দেখার জন্য আশেপাশের গ্রামের মানুষ বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন। তাঁর পাঁচ বছরের একটি মেয়ে, তিন বছরের একটি ছেলে এবং স্ত্রী সহ বাবা–মা রয়েছেন। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে তাঁকে গান স্যালুট দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।