গর্ভপাত না করায় গর্ভবতী স্ত্রীর উপর নৃশংস নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মালদার বৈষ্ণবনগর থানার নন্দলালপুর এলাকার। ওই যুবকের নাম সাদ্দাম হোসেন। অভিযোগ, কয়েক মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। রাজি না হওয়ায় শুরু হয় মারধর। স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে তাঁকে রক্তাক্ত ও অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রাখেন অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে দুই ভাইকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: দেড় বছর আগে বিয়ে, জলপাইগুড়িতে রহস্য মৃত্যু দম্পতির, কারণ নিয়ে ধন্দে পরিবার
রবিবারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। স্থানীয়দের সহায়তায় গৃহবধূ পপি খাতুনকে প্রথমে বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে এবং পরে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে কৃষ্ণপুর মুরাদটোলার বাসিন্দা পপির সঙ্গে বিয়ে হয় নন্দলালপুরের সাদ্দাম হোসেনের। পপির পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই সাদ্দাম একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং সেই নিয়ে প্রায়শই পপির উপর নির্যাতন চালাতেন।
পপির দাদা আসাদুল শেখের অভিযোগ, পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল সাদ্দাম। বেশ কয়েকবার বোঝানোর চেষ্টা হলেও কারও কথায় কান দেননি তিনি। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কোনও চেষ্টা করেননি তিনি। তাঁর বোন গর্ভবতী জানতে পেরেই গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতে শুরু করে সাদ্দাম। রাজি না হওয়ায় মারধর করে ও পেটে লাথি মারেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করে সাদ্দামের পরিবার।