অনেক দিন ধরেই নাকি দাম্পত্যে সমস্যা চলছিল। আর তার পরে প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন গৃহবধূ। তলে তলে দেখা করা এবং ঘনিষ্ঠ হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ। গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের দাবি, কয়েক দিন আগেই তাঁরা এমন খবর পেয়েছিলেন। কিন্তু গৃহবধূকে কিছু বলেননি। বরং অপেক্ষা করছিল প্রমাণের। আর তার পরে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দু’জনকে ধরে ফেলেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির করঞ্জলির বটতলা এলাকায়। এর পরে কী ঘটেছে সেখানে? স্থানীয় সূত্রে খবর, গৃহবধূ এবং তার প্রেমিককে সহবাসরত অবস্থায় ধরে ফেলেন পরিবারের সদস্যরা। তখন তাঁদের বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। কয়েক জন তখন ভিডিয়ো রেকর্ডও করেন। আর তারপরই মধ্যযুগীয় বর্বরতা দেখল এই এলাকা। এই ঘটনায় গৃহবধূর শাশুড়ি, দেওর–সহ মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কারণ এভাবে প্রকাশ্য রাস্তায় দু’জন প্রাপ্তবয়স্ককে নিগ্রহ করা যায় না আইন অনুযায়ী। ওই গৃহবধূর বিয়ে কয়েক বছর আগেই হয়েছিল। তারপর দুই সন্তানের মা তিনি। এই অবস্থায় প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় ওই বধূর। ওই যুবক গৃহবধূর বাড়িতে প্রায়ই আসতেন। গত ৩১ জানুয়ারি রাতে ধরা পড়ে যান দু’জনে। সেই রাতে সহবাসরত অবস্থায় দু’জনকে দেখে ফেলেন বধূর পরিবারের সদস্যরা বলে সূত্রের খবর।তারপর ঠিক কী ঘটল? এই দৃশ্য দেখেই তাঁদের দু’জনকে টেনেহিঁচড়ে বের করা হয়। সবার সামনে বিবস্ত্র করা হয় তাঁদের। এমনকী বাড়ির কাছে গাছে বেঁধে চলে বেধড়ক মারধর। তখনই এই ঘটনার ভিডিয়ো করে রাখা হয়। এই ঘটনার চারদিন পর গৃহবধূ কুলপি থানার দ্বারস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গৃহবধূর শাশুড়ি, দেওর–সহ মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। আজ, রবিবার তাঁদের আদালতে তোলা হল।