শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জলসংকটের জন্য তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডকে দায়ী করে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন স্থানীয় বিধায়ক শংকর ঘোষ। শুক্রবার শহরে ফিরে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন তিনি। আশঙ্কা প্রকাশ করে শংকরবাবু বলেন, রাজ্যের আর কোন কোন শহরে এরকম দূষিত জল সরবরাহ হচ্ছে তা প্রকাশ্যে আসা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন - BJP এলে সাসপেন্ড করব, শাহজাঁহার থেকেও খারাপ হাল হবে, পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
পড়তে থাকুন - শিলিগুড়ির বাসিন্দাদের ২০ দিন ধরে বিষ খাইয়েছে তৃণমূল, বিস্ফোরক দাবি শংকর ঘোষের
এদিন শংকরবাবু বলেন, ‘স্বাস্থ্যের মতো সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগম যে ছেলেখেলা শিলিগুড়ি পুরনিগম করেছে আদালত খোলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেই বিষয় নিয়ে আমি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করব। এতে কারা মানুষের জীবন নিয়ে ২০ দিন ধরে কারা ছেলেখেলা করল তা বেরিয়ে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত ২০ দিন ধরে ফুলবাড়ি জলপ্রকল্প থেকে যে জল সরবরাহ করা হয়েছে তার মানের ওপর প্রতিদিন নজরদারি করার কথা। সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে বিষ জল পান করানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যতগুলো জল প্রকল্প রয়েছে তার থেকেও কি এই ভাবে শহরবাসীকে পানীয় জলের নাম করে বিষ জল পান করানো হচ্ছে? রাজ্য সরকারের জল সরবরাহ দফতরেকে বিষয়টা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেব।’
আরও পড়ুন - আগাম এলেন মেঘদূত, কেরলের সঙ্গে একই দিনে পশ্চিমবঙ্গেও ঢুকে পড়ল মৌসুমী বায়ু
মেয়র গৌতম দেবকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘শিলিগুড়িতে পানীয় জলের সংকট নিয়ে মেয়র গৌতম দেবের কাউকে দোষারোপ করা মানায় না। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি ছিল ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে গজলডোবা থেকে জল এনে শিলিগুড়িতে সরবরাহ করা হবে। সেই প্রকল্প আজও বাস্তবায়িত হয়নি। গৌতমবাবুর তো স্বীকার করা উচিত, ২০ দিন ধরে জলের গুণমান পরীক্ষা না করে শহরে সরবরাহ করা হয়েছে। বরং দূষণমাত্রা কেন বেড়েছে, কবে থেকে বেড়েছে, এগুলো পরীক্ষা করার দায়িত্ব কাদের ছিল, তারা কর্তব্যে গাফিলতি করেছেন কি না। করে থাকলে ক’ জনকে তিনি শো - কজ করেছেন, এই সব তথ্য প্রকাশ্যে আনা। ২০ দিন ধরে কুম্ভকর্ণের ঘুম ঘুমিয়ে শহরে বিষ জল সরবরাহ করেছেন উনি।’