ঢোলাহাটে বাড়িতে মজুত বাজিতে বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। এই বিপর্যয়ের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাণ্ডজ্ঞানহীনতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, কে বাড়িতে বাজি মজুত করে তার পাশে রান্না করছেন সে খবর পুলিশের পক্ষে সব সময় রাখা সম্ভব নয়।মঙ্গলবার বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে সুপ্রতীমবাবু বলেন, ঢোলাহাটে বাজি কারখানাটি প্রায় ১০ বছর ধরে চলছিল। এই বাজি কারখানার মালিক চন্দ্রকান্তকে ২০২২ সালে প্রায় ৬৪ কেজি বাজি মজুত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে ওই কারখানার লাইসেন্স ছিল কি না তা তদন্ত না করে বলা সম্ভব নয়। অভিযুক্তের বাজি মজুত করার লাইসেন্স ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখতে হবে।তিনি বলেন, বাজি শিল্পের সঙ্গে অনেকে যুক্ত। এর ওপর অনেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু কেউ যদি বাড়িতে পেট্রোল রেখে বা কোনও বিস্ফোরক রেখে তার পাশে দেশলাই জ্বালিয়ে রান্না করেন তার খবর সব সময় পুলিশের কাছে থাকে না। ন্যূনতম কাণ্ডজ্ঞান থাকলে মানুষ এরকম করে না। ওই বাজি কারখানার মালিক চন্দ্রকান্ত বণিকের কাণ্ডজ্ঞানহীনতাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আমরা একটা জিনিস বুঝেছি যে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে।তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন বাজি প্রস্তুতকতারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলব। আমরা বোঝার চেষ্টা করব লোকালয় থেকে দূরে বাজি মজুত রাখার ব্যবস্থা করা সম্ভব কি না। তেমন হলে সমবায়ের ধাঁচে বাজি মজুতের ব্যবস্থা করার চেষ্টা হবে।সোমবার রাতের ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তিনি। সঙ্গে জানিয়েছেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক নিয়ে গাফিলতি, অনিচ্ছাকৃত খুন, অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টাসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।