ভোটের আগে সিপিএমের যুব সংগঠন ছেড়ে বিজেপিতে ভিড়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন ডিওয়াইএফআই নেতা শঙ্কর ঘোষ। এরপর তাঁর রাজনৈতিক গুরুকে হারিয়ে শিলিগুড়ির বিধায়ক হয়েছেন তিনি। সেই বামেদের রক্তক্ষরণ এখনও অব্যাহত। বিগত দিনে শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকা বামেদের অন্য়তম শক্ত ঘাঁটি ছিল। এবার সেই ঘাঁটিতেই একের পর এক ধস বাম শিবিরে। বুধবার শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের প্রশাসক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর স্মৃতিকণা বিশ্বাস সহ একাধিক সিপিএম নেতা। এদিন শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকার বামেদের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা লাল পতাকা ছেড়ে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন। পাশাপাশি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক বিজেপি কর্মী এদিন তৃণমূলে যোগ দেন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে দলের দুঃসময়তেও যে শিলিগুড়ি বরাবর বামেদের মান রক্ষা করেছে সেখানে সংগঠন ধরে রাখাটাই এখন বামেদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।কিন্তু সিপিএম ছেড়ে কেন তৃণমূলে যোগ দিলেন এই প্রসঙ্গে স্মৃতিকণা বিশ্বাস বলেন, ‘এতদিন ওই দলটা করতাম। শ্রদ্ধা নিশ্চয়ই থাকবে। কিন্তু সিপিএম প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে শামিল হতে চাই।’ তবে তিনি এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে বার বার সিপিএমের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে চান। সরাসরি প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্য়দিকে প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তিনি সিপিএম কাউন্সিলর ছিলেন। বস্তি এলাকায় নানা কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত। তাঁর অভিজ্ঞতা সকলেরই কাজে লাগবে।’