রাত ১ টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দা পঞ্চানন মুর্মুর বাড়ির রান্নাঘরে হানা দেয় দুটি হাতে। তাঁর বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং দুই নাবালক পুত্র। বিকট শব্দে ঘুম ভাঙতেই তিনি দেখতে পান রান্নাঘর ভেঙে দিয়েছে হাতি। তিনি গ্রামের মানুষজনকে ফোন করে ডাকতে শুরু করেন।
হাতি তাণ্ডব চালাল ঝাড়গ্রামে। প্রতীকী ছবি
হাতির তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে ঝাড়গ্রামে। এবার দলছুট হাতি একটি বাড়ির রান্নাঘর ভেঙে সব খাবার সাবাড় করে দিল। শুধু তাই নয়, ভাতের সঙ্গে ডিমের রান্না করা তরকারিও খেল হাতি। শনিবার হাতির তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়ায় ঝাড়গ্রাম ব্লকের জোয়ালভাঙা গ্রামে। রাত ১টা নাগাদ দুটি হাতি লোকালয়ে চলে আসে। এক গৃহস্থের বাড়ির রান্নাঘরে হানা দেয়। সেই সময় বাড়ির সকলে ঘুমোচ্ছিলেন। বিকট শব্দে বাড়ির সদস্যদের ঘুম ভেঙে যায়। এরপরই তাঁরা উঠে দেখেন রান্নাঘরের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি বিশাল হাতি। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। গ্রামবাসীরা মশাল জ্বালিয়ে হাতি দুটিকে তাড়িয়ে দেন বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, রাত ১ টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দা পঞ্চানন মুর্মুর বাড়ির রান্নাঘরে হানা দেয় দুটি হাতে। তাঁর বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং দুই নাবালক পুত্র। বিকট শব্দে ঘুম ভাঙতেই তিনি দেখতে পান রান্নাঘর ভেঙে দিয়েছে হাতি। তিনি গ্রামের মানুষজনকে ফোন করে ডাকতে শুরু করেন। কিন্তু গ্রামে অনেকে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যাওয়ায় সেই সময় গ্রাম প্রায় ফাঁকা ছিল। পরে গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে হাতি দুটি সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন।
পঞ্চানন জানান, তাঁদের রান্নাঘরে ভাত ও ডিমের রান্না করা তরকারি ছিল। হাতি সেইসব খেয়ে নিয়েছে। তাছাড়া রান্নাঘরে থাকা বাসন, মুদির জিনিসপত্রও নষ্ট করে দেয় হাতি। দম্পতির দাবি, এর আগেও তাঁদের বাড়ির কাছে হাতে এসেছিল। সেই সময় কলা গাছ খেয়ে চলে গিয়েছিল হাতি। তবে এবার একবারে রান্নাঘর সবকিছু খেয়ে নিয়েছে। হাতি যে এভাবে মাটির দেওয়াল ভাঙবে তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেননি ওই দম্পতি। তাঁদের অভিযোগ, হাতি তাড়ানোর জন্য বনদফতরের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। হুলা পার্টির কোনও সদস্যদেরও দেখা যায় নি। এই অবস্থায় কীভাবে বাচ্চাদের নিয়ে থাকবেন? তা নিয়ে চিন্তিত দম্পতি। তাঁদের আশঙ্কা, বনদফতর পদক্ষেপ না করলে ফের হামলা চালাবে হাতির দল।