গান চালানো নিয়ে শুরু হয় বচসা। আর সেটাই বর এবং কনেপক্ষের মধ্যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি করে। হাতাহাতি চরমে পৌঁছয়। তার মধ্যেই বিয়েবাড়িতে চলল গুলি বলে অভিযোগ। দুর্গাপুরে বিয়েবাড়িতে গুলি চলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল কনেপক্ষের এক যুবকের। এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায়। এমনকী ওই যুবককে কোপানোও হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয় এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বেশি রাতে এই ঘটনা ঘটে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার ভ্যাম্বে কলোনিতে। ঘটনাস্থলে বিরাট পুলিশ বাহিনী রয়েছে।
এদিকে বিয়েবাড়িতে যে গান চলছিল সে গান পরিবর্তন করতে বলা হয় ওই যুবককে। তা মানতে রাজি না হওয়ায় শুরু হয় বচসা। সেখান থেকে হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। তখন দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও গুলি চলেনি বলে দাবি করেছে পুলিশ। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে বরযাত্রীদের বিরুদ্ধে। মারা গিয়েছেন কনেপক্ষের যুবক বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা আজ রবিবারও রয়েছে। কনেপক্ষের ওই যুবককে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। তাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। যা হাড়হিম ঘটনা হিসাবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জুন মাস থেকেই পাইপে গৃহস্থদের হেঁসেলে গ্যাস পৌঁছে যাবে! বিজিসি’র জোরদার উদ্যোগ
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম আর্টিস্ট বেদ (১৮)। তাঁর বাড়ি ওখানের পাণ্ডবেশ্বর থানা এলাকায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বরপক্ষের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিয়ে সম্পন্ন হলেও বরপক্ষের কয়েকজন ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছিলেন। তাঁরাই গান পরিবর্তন করার দাবি নিয়ে অশান্তি শুরু করেন। কিন্তু কনেপক্ষ ওই গান পরিবর্তন করতে রাজি না হওয়ায় বচসা থেকে মারধর শুরু হয়। তাতেই ওই যুবক বেদ মারা যান। বেদকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। কনের বাবা জাদুকর বেদ বলেন, ‘আর্টিস্ট বেদকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন বেদ। এই যুবক বেদ সম্পর্কে কনের ভাই।’
এছাড়া বেদকে আক্রান্ত অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের দ্বারস্থ হন কনের পরিবারের সদস্যরা। এই খুনের ঘটনা নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি সুবীর রায়ের বক্তব্য, ‘গুলি চালানো হয়নি। মৃত যুবকের বুকে কোপানোর চিহ্ন আছে। ধারাল কোনও অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কেউ জড়িত কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রবিবার যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’ কনের মামা অবিনাশ বেদের কথায়, ‘বরযাত্রীর লোকেরা আমাদের উপর হামলা চালায়। আমার ভাগ্নেকে গুলি করে খুন করা হয়। আমরা দোষীদের শাস্তি চাইছি।’