ঢোলাহাটে বাড়িতে মজুত বাজিতে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। মঙ্গলবার সকালে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। এর ফলে ১২ সদস্যের বণিক পরিবারে বেঁচে রইলেন শুধুমাত্র ৩ জন। মঙ্গলবার দুপুরে ঢোলাহাটে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বঙ্কিমবাবু। তবে বণিক বাড়িতে যে নিয়ম না মেনে বাজি তৈরি হচ্ছিল তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এদিন ঘটনাস্থলে পরিদর্শনের পর বঙ্কিমবাবু বলেন, ‘পুলিশ চন্দ্রকান্ত বণিককে আটক করেছে। এখানে ফরেন্সিক দল আসবে। তারা রিপোর্ট দিলে বিস্ফোরণের আসল কারণ জানা যাবে।’ টাকার বিনিময়ে ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাজি কারখানার লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এখানকার বিধায়ক সমীরবাবুকে চিনি। তিনি সজ্জন ব্যক্তি। আর পুলিশের ব্যাপারটা জেনে বলতে হবে।’তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তিনি উপযুক্ত জায়গায় রিপোর্ট দেবেন। ওই কারখানায় বোমা তৈরি হত কি না সেব্যাপারেও কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। যদিও স্থানীয়দের দাবি, মোটা টাকার বিনিময়ে চন্দ্রকান্ত বণিককে বাজি কারখানার লাইসেন্স পাইয়ে দিয়েছিলেন বিধায়ক। সেখানে প্রতি মাসে পুলিশ আধিকারিকরা এসে বখরা নিয়ে যান। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বাজি কারখানার মালিক চন্দ্রকান্ত বণিককে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। চন্দ্রকান্তের ভাই তুষারকান্তিকে খুঁজছে পুলিশ।