
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের বেতন হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। আর বেতন হয়নি দু’মাস বলে সংসার চলছে না। কবে বেতন মিলবে তারও কোনও সদুত্তর নেই পুরসভার কাছে। এবার বেতনের দাবি করে চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী। কিন্তু কোনও সুরাহা না পেয়ে কেঁদে ফেললেন ওই মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী। গত কয়েক মাস ধরে চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। দু’মাস পর তাঁদের বেতন দেওয়া হচ্ছে এক মাসের বলে অভিযোগ। একটা সময় মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বেতন পেতেন তাঁরা। এখন মাস শেষ হয়ে গেলেও বেতন কবে মিলবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই বলে অভিযোগ।
দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে একটা ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল অস্থায়ী কর্মীদের মনে। এবার সেই ক্ষোভের জেরে গতকাল সোমবার অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে রাখে। আর বকেয়া বেতনের দাবিতে সোচ্চার হন। কিন্তু সদুত্তর না মেলায় কাজ বন্ধ করে দেন তাঁরা। আর তার জেরে রাতের শহর অন্ধকারে ডুবে যায়। কারণ রাস্তার আলো জ্বালানো হয় না। আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে দেখা যায় নানা ওয়ার্ডে স্ট্রিট লাইট জ্বলছে। যদিও কে বা কারা আলো জ্বালালো সেটা স্পষ্ট নয়। আজ আবার চুঁচুড়া পুরসভায় বকেয়া বেতনের দাবিতে জড়ো হন মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীরা। যাঁরা গার্ডের কাজ করেন তাঁরাও সামিল হন। চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের পড়ুয়াদের সাসপেনশন খারিজ, কল্যাণের সওয়ালে সাড়া কলকাতা হাইকোর্টের
এই ঘেরাওয়ের সঙ্গে সঙ্গে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা দাবি তোলেন, তাঁরা আজ বেতন নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। আর স্বাস্থ্যকর্মী গীতা পাল বেতন চাইতে এসে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দু’মাস ধরে বেতন পাইনি, নভেম্বর মাসও শেষ হতে চলল। কেন বেতন পাচ্ছি না সেটা জানি না। কবে বেতন পাবো তা নিয়ে চেয়ারম্যান কিছু বলছেন না। আর আমাদের সংসার চলছে না। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে সংসার খরচ সবই আছে। ধার করে আর কত চালাবো।’ অস্থায়ী গার্ড শেখ তাজউদ্দীনের বক্তব্য, ‘আগে আমরা মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বেতন পেতাম। এখন দু’মাস বেতন বকেয়া রয়েছে। কাজ করছি কিন্তু বেতন পাচ্ছি না। কি করে চলবে। চেয়ারম্যান বসে আছে কিছু বলছে না।’
হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভায় প্রায় আড়াই হাজার অস্থায়ী কর্মী আছে। যাঁরা দিনমজুরিতে কাজ করে। গত কয়েক মাস ধরে তাঁদের বেতন হচ্ছে না বলে অভিযোগ। চুঁচুড়া পুরসভার আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হওয়ায় এমনটা ঘটেছে বলে অনেকের মত। কর্মীদের বেতন দিতে প্রত্যেক মাসে যত টাকা দরকার সেই টাকা থাকে না পুরসভার কাছে বলে খবর। তাই প্রত্যেক মাসেই বেতনের সময় এলেই সমস্যা তৈরি হয়। এবার বেতন না হলে আগামীকাল বুধবার থেকে ধর্মঘটে যাবেন পাম্প অপারেটররা বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা। চুঁচুড়া পৌরসভায় অমিত রায়কে চেয়ারম্যান করেছিল তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports