সিবিআইয়ের জেরা চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ইসিএলের কুনুস্তোরিয়া এলাকার সিকিওরিটি ইনচার্জ ধনঞ্জয় রায়ের। কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে শনিবার সকাল থেকে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর, আসানসোল–সহ রাজ্যের ৩০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সিবিআই। তেমনই এদিন জামুরিয়ার ইসিএলের কুনুস্তোরিয়ার সিকিওরিটি ইনচার্জ ধনঞ্জয় রায়ে কোয়ার্টারে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। জানা গিয়েছে, তাঁকে জেরা করার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ইসিএলের কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর।এদিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, বিহারেও তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআইয়ের ২২টি দল। তাতে রয়েছেন ২৫০ থেকে ৩০০ জন সিবিআই আধিকারিক। একদিকে, কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার বাড়ি এবং অফিসে যেমন তল্লাশি চলছে তেমন তার ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। একইসঙ্গে ইসিএলের বিভিন্ন দফতরেও এদিন হানা দিয়েছে সিবিআই। কারণ, কয়লা পাচারের সঙ্গে ইসিএলের একাধিক আধিকারিকের যুক্ত রয়েছেন বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন এই ধনঞ্জয় রায়। একইসঙ্গে ইসিএলের ৪ জেনারেল ম্যানেজারের বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই।জানা গিয়েছে শনিবার সকালে প্রথমে দুর্গাপুরের কাছে কাজোড়া এলাকায় কয়লা খাদানে তদন্তে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। তোলা হয় ছবিও। এই খাদান থেকে কীভাবে কয়লা তোলা হয় এবা তা কোথায়, কীসের মারফত সরবরাহ করা হয় সে ব্যাপারে এদিন খোঁজখবর নিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।এদিকে, এভাবে সিবিআইয়ের জেরার মুখে এক ইসিএল আধিকারিকের মৃত্যুর নিন্দা জানিয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। স্থানীয় আইএনটিটিইউসি নেতা হরেরাম সিং বলেন, ‘যা হচ্ছে খুবই অন্যায় হচ্ছে। প্রতিবার ভোটের আগে এভাবে নেতা, আধিকারিকদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই বা অন্য কেন্দ্রীয় সংস্থারা। শুধুমাত্র ভয় দেখানো জন্য এ সব করা হচ্ছে।’