শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে গোটা রাজ্য জুড়ে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ ক্রমেই সামনে আসছে। জিটিএর শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তবে আদালতে কার্যত রাজ্যের তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে সেই নিয়োগ ছিল অবৈধ।
রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়াই এই নিয়োগ হয়েছে। আবার জিটিএর দাবি, মন্ত্রিসভা সবটা জানত। কার্যত রাজ্য সরকারের কথার সঙ্গে মিলছে না জিটিএর দাবি। তবে সব মিলিয়ে এবার দার্জিলিং পাহাড়ে জিটিএ এলাকায় শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে বড়সর অনিয়মের বিষয়টি সামনে আসছে। সেই সঙ্গেই এবার দেখা যাচ্ছে জিটিএ কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকার পরস্পরবিরোধী কথা বলছে। তবে কি রাজ্য় সরকার কৌশলে যাবতীয় দায় ঘাড় থেকে নামাতে চাইছে? কারণ এই দুর্নীতির মামলাতেও জেলবন্দি প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নামও জড়িয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্য সরকার কী ভূমিকা নেয় সেটাই দেখার।
এদিকে পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে আগেই ধাক্কা খেয়েছিল রাজ্য সরকার। গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (জিটিএ) শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ, সেই নির্দেশই বহাল রেখেছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ।