আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। নিরাপত্তার দাবি উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ রোজ রাজপথে মিছিল, ধরনা করছেন। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা ঘটার একমাস পেরিয়ে গিয়েছে। তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। তবে জাস্টিস আসেনি। আর এবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ এবং পরীক্ষায় নম্বর কারচুপি নিয়ে অভিযোগ তুললেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর তারপরই কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে ছাত্রদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করলেন অধ্যক্ষ।
এদিকে অঞ্জন মণ্ডল–সহ বেশ কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠ তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ওই জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, অভিযুক্ত তিন ডাক্তার ভয় দেখাচ্ছিলেন তাঁদের। এই মর্মেই বউবাজার থানায় আজ এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা একাধিক অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন। উঠে আসে এসএসকেএম হাসপাতালের পিজিটি অভীক দে–সহ আরও একাধিক নাম। অভিযোগ জানিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
আরও পড়ুন: ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’, স্লোগান পাল্টে রাজপথে নেমে নির্যাতিতার বাবার নিশানায় পুলিশ
অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন বিরুপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে সেমিনার হলে ছিলেন। ওই দিনের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। যদিও ওই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। জুনিয়ার ডাক্তারদের অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষা ব্যবস্থায় অভীকের হাত ছিল। অভীক দে’র নেতৃত্বে চলে ‘থ্রেট কালচার’। পরীক্ষার নম্বরেও ‘কারচুপি’ হয়েছে। আর পাঁচজনের নামে অভিযোগ জানানো হয়েছে। নতুন করে খাতা দেখার দাবিও তোলা হয়েছে। অভীক ঘনিষ্ঠরা চিকিৎসকদের পরীক্ষার ফল আটকে দেওয়া, ফেল করিয়ে দেওয়া এবং রেজিস্ট্রেশন আটকে দেওয়ার হুমকি দেয়।
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আজ চিঠি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করার দাবি করেছেন তিনি। এই আবহে বর্ধমান হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, এমন পরিস্থিতিতে বহিরাগত সংস্থার মাধ্যমে খাতা দেখানো এবং নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা দরকার। তবে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ছাত্রদের পক্ষ থকেএ নম্বর নিয়ে কারচুপির অভিযোগ পেয়েছি। সমগ্র বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে।