
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে বিজেপি বাংলা তোলপাড় করেছিল এবার তাদেরই নেতা আজ, রবিবার গ্রেফতার হল একই অভিযোগে। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়েছিলেন তিনি বলে অভিযোগ। কিন্তু তা বাস্তবে ঘটেনি। তাই ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই বিজেপি নেতা আবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এমন ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল বিরোধী দলের নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য বিজেপির নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এই নেতা টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আর তাই এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কোষাধ্যক্ষকে। এই কোষাধ্যক্ষ মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের খুব ঘনিষ্ঠ বলে সূত্রের খবর। বিজেপি নেতার গ্রেফতারের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই জোর আলোড়ন দেখা দিয়েছে। সুতরাং যখন বিজেপি বঙ্গে নতুন সভাপতি খোঁজার কাজ করছে তখন নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এল।
আরও পড়ুন: ফুরফুরা শরিফের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন আইএসএফ বিধায়ক, একমঞ্চে মমতা-নৌশাদ!
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বিজেপি নেতার নাম লক্ষ্মণ ঘোষ। বিজেপি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কোষাধ্যক্ষ পদে আছেন এই লক্ষ্মণ ঘোষ। চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা পকেটস্থ করেছিল লক্ষ্মণ ঘোষ। সেই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদি বিজেপির এক নেতা জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের সঙ্গে অত্যন্ত সখ্যতা রয়েছে লক্ষ্মণ ঘোষের। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি আছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বনগাঁ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘অভিযুক্ত লক্ষ্মণ চাকরি দেওয়ার নাম করে বিপুল টাকা হাতিয়েছে। এভাবেই বিজেপি নেতা বাজার থেকে টাকা তুলেছে। দলটা পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপিকে দূর করে দেবে।’
যদিও জেলা বিজেপি এই ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের সাফাই, ‘বিজেপিতে ঘনিষ্ঠ বলে কিছু হয় না। এটা ২০১৮ সালের ঘটনা। ২০১৮ সাল থেকে লক্ষ্মণ জামিনে মুক্ত আছেন। আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা ওই নেতার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তার দায় কখনই দলের নয়। আইন আইনের পথে চলবে। তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা প্রশাসন নেবে। এতে আমাদের কিছু বলার নেই।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports