এবার চাল নিয়ে চুলোচুলি শুরু হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির মধ্যে। এখন রাজ্যজুড়ে করোনাভাইরাস চোখ রাঙাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের দেওয়া ত্রাণের চাল বিলি করা হচ্ছে। সেই চাল নিজের ওয়ার্ডের জন্য নিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানালেন বিজেপিতে যোগ দেওয়া ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের একদা তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা নিয়ে বচসা তৈরি হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির মধ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের ৪ নম্বর বরো কার্যালয়ের সামনে। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গাপুর পুরসভার বরো কার্যালয়গুলি থেকে কাউন্সিলররা চাল নিয়ে গিয়ে তা নিজেদের ওয়ার্ডে বিলি করছেন। কারণ একদিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়। এই পরিস্থিতিতে খাবার নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে সাধারণ মানুষের। তাই ওয়ার্ডগুলির কাউন্সিলররা ৪ নম্বর বরো কার্যালয় থেকে চাল তোলেন। কিন্তু ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপিতে যোগ দেওয়া কাউন্সিলর চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় চাল নিতে যেতেই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী গুড্ডু খানের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন বলেন, ‘চাল আমরা বিলি করব। কারণ ওই কাউন্সিলর চাল বিলিতে অনিয়ম করবেন।’ আর চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, ‘আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। বিজেপি করি বলে এখানে এলাকাবাসীর জন্য চাল নিয়ে যেতে এসে বাধার মুখে পড়ছি।’এই ঝামেলার মধ্যে চাল দেওয়া বন্ধ করে দেন পুর–আধিকারিক মনোতোষ কর্মকার। তাতে আরও তুঙ্গে ওঠে বচসা। বরো কার্যালয়ের বাইরে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি কর্মীরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দ চাল বরো কার্যালয়ে নামিয়ে দিয়ে ফিরে যায় সরকারি গাড়ি। মনোতোষবাবু বলেন, ‘সব ওয়ার্ডের চাল বিলি হয়ে গিয়েছে। ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে সমস্যা দেখা দেওয়ায় আমি বরো চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি।’এই বিষয়ে বরো চেয়ারম্যান সুনীল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও অবস্থাতেই চন্দ্রশেখরবাবুকে চাল দেওয়া যাবে না। কারণ প্রকৃত দুঃস্থেরা চাল পাবেন না। উনি সই করলে আমাদের কর্মীরা চাল বিলি করবেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেক গালমন্দ করেছিলেন উনি। সব মনে আছে আমাদের। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চাল তাঁকে বিলি করতে হবে না।’