কয়লা পাচারের আরও তথ্যের খোঁজে আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তলব করেছিল সিআইডি। আজ, শুক্রবার ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে বলা হলেও দিচ্ছেন না বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আজ সকালে হাজিরা না দেওয়ার কথা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন আসানসোলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। বরং তড়িঘড়ি এই মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে বিজেপি নেতা বলে সূত্রের খবর।কেন জিতেন্দ্র এড়িয়ে গেলেন সিআইডি–কে? জিতেন্দ্র তিওয়ারি এসবের সঙ্গে যুক্ত নন প্রমাণ করতেই এড়িয়ে গেলেন সিআইডি তলব বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, তিনি নিজের ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন এই মামলা যে অঞ্চলের কথা উল্লেখ রয়েছে সেটি কখনই তাঁর এলাকার মধ্যে ছিল না। এমনকী বিধায়ক কিংবা মেয়র থাকার সময়েও সেটা তাঁর অধীনে ছিল না। এটি রানিগঞ্জ এলাকার মামলা। সেখানকার রাজনৈতিক নেতা, বিধায়ক, সাংসদ, প্রশাসনিক কর্তাদের না ডেকে কেন জিতেন্দ্রকে ডাকা হচ্ছে? এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। তাই তিনি সিআইডি এড়ালেন। সিআইডি নোটিশে জিতেন্দ্রর প্রতিক্রিয়া কী? জিতেন্দ্র নোটিশ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। আসানসোলের ওই বিজেপি নেতা বলেন, ‘তদন্তকারী সংস্থা নোটিশ দিয়েছে। কী বলব আমি? আমি আইন মেনে চলি। সাক্ষী হিসাবে যদি আমাদের কাছে জানতে চান, তা হলে নিশ্চয়ই আমরা জানিয়ে দেব। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতেই তলব করা হয়েছে। এটা রাজ্যের একজন চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াও বলে দেবে। যেখানে সিবিআই ইতিমধ্যেই আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করছে, সেখানে হঠাৎ সিআইডির মনে হল আমাদেরও তদন্ত করা উচিত। আর বিজেপির সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের কাছেই সব তথ্য পাবে, তাদের সাক্ষী হিসাবে ডাকবে— সকলেই বুঝতে পারছেন কী হচ্ছে।’কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে সিআইডি ডাকা এবং তাঁর না যাওয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘গত কয়েক বছরে দেশের ৫৭০ জন বিরোধী রাজনৈতিক নেতা–নেত্রীর বিরুদ্ধে ইডি–সিবিআইকে কাজে লাগানো হয়েছে। সেটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়? ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের পর ইডির তল্লাশি হয়েছে, এটা প্রতিহিংসাপরায়ণতা নয়? লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতার নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ধরা হচ্ছে না। সিআইডি তদন্তে সাজার হার সিবিআই–ইডির থেকে ভাল।’