
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
অবশেষে মালদার হাবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হল। পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স নেই, এই কারণ দেখিয়ে এতদিন বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছিল জেলা প্রশাসন। শেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সেখানে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। হাবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। মঙ্গলবার তৃণমূল ১৩ জন জয়ী সদস্য এবং বিজেপির ১৬ জন সদস্য ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেন। স্বাভাবিকভাবেই বোর্ড বিজেপি দখলে চলে আসে। এদিন এই পঞ্চায়েত সমিতিতে সভাপতি এবং সহ সভাপতি বিজেপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। হাবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি করা হয়েছে সুখী রানী সাহাকে।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা পিছনোর পুরস্কার! শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রীকে প্রধান করল TMC
হাবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৩৩ টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে ১৭ টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ১৩টিতে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল এবং দুটি সিপিএম ও কংগ্রেস একটি আসনে জয়ী হয়। তবে পরে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, বিজেপির এক সদস্য জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ওই বিজেপি প্রার্থীর সদস্যপদ খারিজ করে দেয়। ফলে বিজেপির সদস্যপদ কমে হয় ১৬ জন। অন্যদিকে, এই পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ৩২ জন। মঙ্গলবার পুলিশি নিরাপত্তায় বোর্ড গঠন হয় হাবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। তৃণমূল, বিজেপি এবং কংগ্রেস ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করে। তবে সিপিএম ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে। প্রসঙ্গত, হাবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া দেরি হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। অবশেষে আদালত নির্দেশ দেয় পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে বোর্ড গঠন করতে হবে। এদিন বোর্ড গঠন করার পরেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা বিজেপি প্রার্থী সুখী রানী সাহা তৃণমূল এবং পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল ও পুলিশের অত্যাচারে এক মাস ধরে তিনি বাড়িতে থাকতে পারছিলেন না। এখন বোর্ড গঠন হওয়ায় তিনি খুশি। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই বিজেপি অভিযোগ করে আসছে তাদের সদস্যদের মোটা টাকার বিনিময়ে কেনার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস । এমনকী পুলিশকে দিয়েও ভয় দেখানো হচ্ছে। তাদের অভিযোগ ছিল, অবৈধভাবে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে এ দিন পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক নেতাদের চোখ ছিল হাবিবপুরে।
হাবিবপুর ব্লকে বিডিও এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু জানান, তৃণমূল এবং পুলিশ যেভাবে অত্যাচার করেছে এই পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি বোর্ড গঠন করায় যোগ্য জবাব পেল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল এবং প্রশাসনের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। তিনি জানান, এতদিন নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বোর্ড গঠন আটকে রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার আদালতের নির্দেশে পুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে বোর্ড গঠন করতে বাধ্য হল প্রশাসন।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports