আসানসোলে টিকা বিতর্ক সামনে আসার পর ভ্যাকসিন নেওয়া ওই মহিলার বাড়ি গেলেন চিকিৎসকরা। করা হল স্বাস্থ্য পরীক্ষা। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। আসানসোলের বিদায়ী ডেপুটি মেয়রকে শোকজ করেছেন পুর প্রশাসক। সেইসঙ্গে শোকজ করা হয়েছে চিকিৎসক ও কর্তব্যরত নার্সকেও।শনিবার আসানসোল পুরনিগমের উদ্যোগে কুলটির সীতারামপুর এলাকায় টিকাকরণ কর্মসূচি চলছিল। আচমকাই সেই ক্যাম্পে আসেন আসানসোল পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তবস্সুম আরা। স্বাস্থ্য কর্মী থাকা সত্বেও তিনি নিজেই একজন মহিলাকে টিকা দেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়। স্বাস্থ্য কর্মী থাকা সত্বেও তিনি কেন টিকা দিলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। গোটা ঘটনার বিরোধিতা করে সরব হয় বিজেপি। শেষ পর্যন্ত বিদায়ী ডেপুটি মেয়রকে শোকজ করেন আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর এদিন টিকাপ্রাপ্ত ওই মহিলার বাড়িতে যান চিকিৎসকরা। তাঁরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। কোথাও কোনও সমস্যা বা উপসর্গ দেখা দিয়েছে কিনা, তাঁরা তা পরীক্ষা করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মহিলা ভালোই আছে। তাঁর কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। তবে তাঁকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।এদিকে গোটা ঘটনা নিয়ে টুইটে সরব হয়েছেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ও আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। এই ঘটনায় কুলটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিজেপির সংখ্যালঘু শাখা। সংখ্যালঘু শাখার সহ০সভাপতি জিসান কুরেশি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। এদিকে ক্যামেরায় টিকাদানের বিষয়টি স্পষ্টভাবে ধরা পড়লেও বিদায়ী ডেপুটি মেয়রের দাবি, তিনি নাকি সিরিঞ্জ হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু মহিলাকে টিকা দেননি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কিছুটা কটাক্ষের সুরেই আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল জানান, 'এবার কি তৃণমূল নেতা হলেই তাঁরা ভ্যাকসিন হাতে দিতে পারবেন। আমি যতদূর জানি, ওনার কোনও নার্সিং ডিগ্রি ছিল না।'