জাল ভোটার কার্ডের পর এবার জাল আধার চক্র ধরা পড়ল কাকদ্বীপে। অন্যের আধার কার্ড এডিট করে জাল আধার তৈরির অভিযোগ জমা পড়ল থানায়। অভিযোগ উঠেছে পঙ্কজ মাইতি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আধার যে তিনি এডিট করেছেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত।জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে এক প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য নিজের নথি জমা দেন। তার মধ্যে ছিল প্রসূতির আধার কার্ড। পরীক্ষা করে দেখা যায় সেই আধার কার্ডে প্রসূতির নাম ছাড়া অন্য কোনও কিছুর মিল নেই। এমনকী ছবিও আলাদা। এর পর অনলাইনে পরীক্ষা করে দেখা যায় ওই নম্বরের আধার কার্ডের মালিক আসলে অন্য এক ব্যক্তি। যাঁর সঙ্গে প্রসূতির কোনও সম্পর্কই নেই। দিন কয়েক পরে একই রকম আরেকটি জাল আধার কার্ড জমা পড়ে মহকুমা হাসপাতালে। এর পর হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু রায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।তিনি জানিয়েছেন, প্রসূতিদের জেরা করে জানতে পারি তাঁরা স্থানীয় একটি সাইবার ক্যাফে থেকে ওই আধার কার্ড বানিয়েছেন। এর পর সেই সাইবার ক্যাফের বিরুদ্ধে হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করি।ওদিকে অভিযুক্ত সাইবার ক্যাফের মালিক সংবাদমাধ্যমের সামনে অপরাধ কবুল করলেও অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করেন। তিনি বলেন, আমরা আধার কার্ডের কাজ করি না। আমরা ফটোশপের কাজ করি। আমি সেদিন কলকাতা গিয়েছিলাম। দোকানে বসেছিল আমার ছেলে। তাকে এসে কেউ বলায় সে ফটোশপে এডিট করে দিয়েছে। এমনিতে কেউ আধার কার্ড ডাউনলোড করতে এলে প্রিন্ট করে ল্যামিনেশন করে ৫০ টাকা নিই।ওদিকে তৃণমূলের দাবি, আধার কার্ড কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। কেউ কোনও জালিয়াতি করলে কেন্দ্র বুঝবে। পুলিশ আইন মেনে পদক্ষেপ করবে। তবে মনে হয় এসব বিজেপির কাজ। বিজেপি এসব করে রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।