২০১৯সালে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির কাছ থেকে ভোটে লড়ার টিকিট পেয়েছিলেন তিনি। সেই সময় জেলা পরিষদের ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ২০২১ সালের ভোটের সময়তেও তিনি বিজেপির হয়ে বেশ দাপটের সঙ্গেই কাজ করেছেন। আর সেই বিজেপি নেতাই ধরা পড়লেন পুলিশের জালে। নাম গঙ্গাধর কর্মকার। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। মেমারি থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ওই ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম গঙ্গাধর কর্মকার। তার বয়স ৫২ বছর। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার অন্তর্গত সিমনোরি গ্রামে।
সূত্রের খবর, ধৃতের কাছ থেকে লাইসেন্স বিহীন একটি সেভেন এমএম পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে বিহারের মুঙ্গেরের এক অস্ত্র কারবারীর কাছ থেকে তিনি এই আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিলেন। এরপর তিনি সেই আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করার জন্য় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানেই কোনও ক্রেতা আসার কথা ছিল। সেখানেও হাতবদল হত বেআইনি ওই অস্ত্রের। কিন্তু গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় অভিযান। গঙ্গাধর অস্ত্র হাতে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় পুলিশ তাকে আটক করে। এরপর তাকে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ওই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে।তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে।
ওই ব্য়ক্তি কোথা থেকে বেআইনি অস্ত্র পেয়েছিলেন?
এনিয়ে প্রিজন ভ্য়ানে বসে নিজে মুখেই জানিয়েছেন সেকথা। এমনকী কত টাকায় তিনি অস্ত্র কিনেছিলেন সেকথাও জানিয়েছেন। তবে ধৃতের পরিচয় জানার পরেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর কেউ এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।
তবে সূত্রের খবর, একটা সময় তিনি সক্রিয়ভাবে বিজেপি করতেন। পরে দলের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। সেই সঙ্গেই বালির ব্যবসাতে লোকসানের মুখে পড়েছিলেন। তারপরেই কি অস্ত্রের কারবারে হাতেখড়ি শুরু হয়?
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, লাইসেন্স নেই এই অস্ত্রের। বিহারের একটা ছেলে দিয়েছিল। ২২-২৩ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। একেবারে অকটপ গঙ্গাধর।
এলাকায় বিজেপি নেতা হিসাবেই পরিচিত তিনি। তবে তার কাছ থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের জেরে এলাকায় চরম শোরগোল। তিনি বলেন, আমার এনিয়ে বলার কিছু নেই।