১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গাপুজো। এ সময় দুর্গাকে প্রসন্ন করার জন্য দুর্গাসপ্তশতী পাঠের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী, দুর্গাসপ্তসতী পাঠ করলে সমস্ত সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই পাঠে ১৩টি অধ্যায় রয়েছে ও এগুলিকে তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, সতর্কতার সঙ্গে দুর্গাসপ্তসতী একদিনেই পাঠ করা উচিত। আবার সময় না-থাকলে ক্রমাঙ্ক অনুযায়ী সাত দিনে পাঠ সম্পূর্ণ করা যেতে পারে। এই পাঠের ফলে শান্তি, সুখ-সমৃদ্ধি, যশ, মান-সম্মান বৃদ্ধি হয়। বিভিন্ন অধ্যায় পাঠ নানান মনস্কামনা পূর্ণ করে।দুর্গাসপ্তসতীর প্রথম অধ্যায় পাঠ করলে চিন্তামুক্তি ঘটে। চিত্ত প্রসন্ন থাকে।দ্বিতীয় পাঠে আইন-আদালতের মামলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।বিরোধী ও শত্রুদের হাত থেকে মুক্তি দেয় তৃতীয় অধ্যায় পাঠ।চতুর্থ অধ্যায় পাঠ করলে দুর্গার আশীর্বাদ লাভ হয় ও সমস্ত দুঃখ নিবারণ হয়।পঞ্চম অধ্যায় পাঠের ফলে প্রসন্ন হন দশভূজা।ষষ্ঠ অধ্যায় পাঠের ফলে ভয়, আশঙ্কা, অশুভ শক্তির প্রভাব থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব হয়। যাঁরা অকারণেই ভয় পান, তাঁদের জন্য এই পাঠ উপযোগী।বিশেষ মনস্কামনা পূরণের জন্য দুর্গাসপ্তশতীর সপ্তম অধ্যায় পাঠ করা উচিত।আবার অষ্টম অধ্যায় পাঠ করলে বিবাহ সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা দূর হয়। এর ফলে মনমতো জীবনসঙ্গী পাওয়া যায়।সন্তানসুখ লাভের জন্য বা বিচ্ছিন্ন আত্মীয়ের সঙ্গে পুনরায় সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য নবম অধ্যায়ের পাঠ ফলপ্রসূ।দশম অধ্যায় পাঠ করলে রোগ-শোক থেকে মুক্তি ঘটে।একাদশ অধ্যায় পাঠের ফলে সুখ-শান্তি পাওয়া যায়। এমনকী ব্যবসায়ে লাভও হয়।দুর্গাসপ্তসতীর দ্বাদশ অধ্যায় পাঠে সমাজে মান-প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি হয়। সুখ-সম্পত্তি লাভ করা যায়।ত্রয়োদশ অধ্যায় পাঠের ফলে দুর্গা প্রসন্ন হন ও তাঁর আশীর্বাদ লাভ করা যায়।