চলতি বছর ৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পিতৃপক্ষ। শেষ হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। এর এক দিন আগে ২ সেপ্টেম্বর পূর্ণিমা শ্রাদ্ধ। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্রপদ পূর্ণিমায় পূর্ণিমা শ্রাদ্ধ হয়। পূর্ণিমার পর প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী, একাদশী, দ্বাদশী, ত্রয়োদশী, চতুর্দশী ও অমাবস্যায় শ্রাদ্ধ সম্পন্ন হয়। এই তিথিগুলির মধ্যে পূর্ণিমা, পঞ্চমী, একাদশী ও সর্বপিতৃ অমাবস্যার শ্রাদ্ধ প্রধান।পূর্ণিমা তিথি ও সময়- রাহুর শতভিষা নক্ষত্রে পিতৃপক্ষ শুরু। রাহুর নক্ষত্রে এই পক্ষ শুরু হওয়াকে জ্যোতিষ দৃষ্টিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ৩৮ মিনিট থেকে পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে।পূর্ণিমা শ্রাদ্ধ বিধি- হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, পূর্ণিমার দিন মৃত্যু হলে, মৃতের পূর্ণিমা শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ঋষিদের উৎসর্গ করা হয়। এ দিন পূর্বপুরুষদের জন্য তর্পণ করা বিধেয়। তাঁদের ছবিতে মালা পরিয়ে সাদা চন্দনের তিলক পরাতে হয়। পূর্বপুরুষদের পায়েস অর্পণ করতে হয়। পায়েসে এলাচ, জাফরান, চিনি, মধু মিশিয়ে তৈরি করলে ভালো। কাক, গোরু ও কুকুরকে প্রসাদ খাওয়ানো উচিত। এর পর ব্রাহ্মণদের ভোজন করাতে হয়।ভাদ্রপূর্ণিমার গুরুত্ব- এ দিন সত্যনারায়ণের পুজো করলে ব্যক্তিজীবনে ধন-ধান্যের কখনও অভাব থাকে না। পূর্ণিমার দিন উপবাস করলে বাড়িতে সমস্ত ধরণের সুখ-সমৃদ্ধির বাস হয়। কষ্ট দূর হয়। এদিন উমা-মহেশ্বর ব্রতও পালন করা হয়। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, সত্যনারায়ণও এই ব্রত পালন করেছিলেন। এদিন স্নান-দানেরও গুরুত্ব অপরিসীম। আবার, এ দিন থেকেই পিতৃপক্ষের সূচনা।