কালসর্প দোষের উপস্থিতির মধ্যেই শুরু হবে নতুন বছর। জ্যোতিষীদের মতে ১৪ ডিসেম্বরই সৃষ্টি হয়েছে কালসর্প দোষ। সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে প্রায় ৪ মাস এই দোষ থাকবে। ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৭টা ৪৯ মিনিট থেকে রাহু বৃষ রাশি এবং কেতু বৃশ্চিক রাশিতে থাকবে। এই সময় সমস্ত গ্রহ এই দুই গ্রহের মধ্যে থাকবে। যার পলে সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে কালসর্প দোষ থাকবে।জ্যোতিষীদের মতে দীর্ঘ সময় ধরে এই কালসর্প দোষ থাকবে। কিন্তু চন্দ্রের কারণে এই দোষ মাঝেমধ্যে ভঙ্গ হবে। সোওয়া দুদিনে রাশি পরিবর্তন করে চন্দ্র যার ফলে রাহু ও কেতুর বলয় থেকে বেড়িয়ে এলে এই দোষ ভঙ্গ বা দুর্বল হয়ে পড়ে।১৪ ডিসেম্বর কালসর্প দোষ লাগলেও ১৭ ডিসেম্বর রাহু ও কেতুর মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসবে চন্দ্র। যার ফলে এই যোগ খণ্ডিত হবে। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৫টায় এই যোগ সৃষ্টি হবে। এমন পরিস্থিতি ২০২২ সালের সূচনা হবে কালসর্প দোষের মধ্য দিয়ে। ১৩ জানুয়ারি ফের এই যোগ খণ্ডিত হবে। ১৪ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত এই যোগ থাকবে না। ২৭ জানুয়ারি থেকে ফের এই দোষ শুরু হবে, যা ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে। প্রভাব- কালসর্প দোষ যতক্ষণ থাকবে, ততদিন পৃথিবীতে অবসাদের পরিবেশ থাকবে। এ ছাড়াও নানান সমস্যা উৎপন্ন হবে। দেশের সীমানায় সমস্যা বাড়তে পারে। তবে সাধারণ মানুষদের জন্য সময় ভালো থাকতে পারে। তবে কালসর্প দোষের উপস্থিতিতে যে জাতকের সন্তান জন্ম নেবে, তাদের কোষ্ঠিতে এই কালসর্প দোষ থাকবে।কাদের জন্য শুভ এবং কাদের জন্য অশুভ?জ্যোতিষীদের মতে ব্রহ্মাণ্ডে কালসর্প দোষ সৃষ্টি হলে রাহু-কেতুকে বাদ দিয়ে অন্য সমস্ত গ্রহ এক দিকে চলে আসে। যার ফলে শুভ গ্রহ নিজের পূর্ণ প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। যে জাতকদের কোষ্ঠিতে কালসর্প যোগ শুভ পরিস্থিতিতে রয়েছে, তাঁদের জন্য এই সময় শুভ ফলে বৃদ্ধি করবে। আবার কোনও জাতকের কোষ্ঠিতে এই যোগ অশুভ পরিস্থিতিতে থাকলে, তাঁদের জীবনে সমস্যা বাড়বে।কালসর্প দোষ থেকে মুক্তির উপায়১. কোনও সাপুড়ের কাছ থেকে নাগ ও নাগিন নিয়ে তাদের মুক্ত করে দিন। ২. ব্রহ্মাণ্ডে যখন কালসর্প দোষ থাকবে, তখন তামার নাগ-নাগিনের পুজো করা উচিত। তার পর শুদ্ধ জলে তা প্রবাহিত করে দিন।৩. প্রতি বুধবার নাগদেবতার প্রতিমা বা তামার নাগে চন্দন বা কেওড়ার আতর লাগিয়ে পুজো করা উচিত।উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে রাহু এবং কেতু রাশি পরিবর্তনও করবে। এ সময় ১২ এপ্রিল দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে রাশি পরিবর্তন করে মেষ রাশিতে প্রবেশ করবে এই গ্রহ।