আগামী ২৫ নভেম্বর দেবোত্থান একাদশী। এই একাদশীর পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে সমস্ত ধরণের শুভ অনুষ্ঠান। যা প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ ছিল। মনে করা হয় ক্ষীরসাগরে চার মাসের বিশ্রামের পর এই তিথিতেই বিষ্ণুর নিদ্রা ভঙ্গ হয়। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দেবশায়নী একাদশীর দিনে ক্ষীরসাগরে নিদ্রা যান বিষ্ণু। তার পর কার্তিক মাসের এই একাদশী তিথিতে তাঁর নিদ্রা ভাঙে। দেবোত্থান একাদশীর দিনে বিষ্ণু ও তুলসী বিবাহ করা হয়।একাদশীর সন্ধে বিধি মেনে তুলসী বিবাহ সম্পন্ন করা উচিত। শাস্ত্র মতে, যে ব্যক্তির কোনও কন্যা নেই, তাঁরা তুলসী বিবাহ করিয়ে কন্যাদানের পুণ্য অর্জন করতে পারেন। এ বছর দেবোত্থান একাদশীতে সিদ্ধি, মহালক্ষ্মী ও রবিযোগের মতো শুভ যোগের সৃষ্টি হচ্ছে। জ্যোতিষাচার্যদের মতে, এমন শুভ সংযোগের উপস্থিতিতে দেব প্রবোধিনী বা দেবোত্থান একাদশীর দিনে বিষ্ণু, লক্ষ্মী ও তুলসীর পুজো করলে অক্ষয় ফল লাভ হয়। বেশ কয়েক বছর পর একাদশীর দিনে এমন যোগ সৃষ্টি হয়েছে।চলতি বছর ২৫ নভেম্বর বুধবার দেবোত্থান একাদশী ব্রত পালিত হবে। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, ২৫ নভেম্বর দুপুর ২ টো ৪২ মিনিট থেকে একাদশী শুরু হবে, শেষ হবে ২৬ নভেম্বর সকাল ৫ টা ১০ মিনিটে। এখানে জানুন দেবোত্থান একাদশীতে কী করবেন আর কী করবেন না।যা ভুলেও করবেন না—একাদশীর দিনে গাছপালার ভাঙা উচিত নয়।এদিন চুল ও নখ কাটবেন না।একাদশী তিথিতে সরল ও সংযমী জীবন যাপন করুন।এদিন চাল খেতে নেই।একাদশীর দিনে অন্যের দেওয়া জিনিস খেতে নেই।এই তিথিতে ফুলকোপি, পালক ও শালগম খাওয়া উচিত নয়।দেবোত্থান একাদশীর দিনে উপবাস করে থাকলে বিছানায় শুতে নেই।যা করা উচিত—দেবোত্থান একাদশীর দিনে বিষ্ণুর সামনে প্রদীপ জ্বালান।এদিন সূর্যোদয়ের আগে উঠে যাওয়া উচিত।এই একাদশীতে বিষ্ণুর নামের কীর্তন করা উচিত।এদিন নির্জলা ব্রত রাখলে শুভ ফল পাওয়া যায়।কোনও দরিদ্র ও গোরুকে অবশ্যই খাবার খাওয়াবেন।