জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে নেড়াপোড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মনে করা হয় নেড়াপোড়ার আগুনে এই দিন সমস্ত অশুভ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই দিন বিশেষ কিছু প্রতিকার করতে পারেন, যা করলে ভালো উপকারও পাওয়া যেতে পারে।
কথাতেই আছে, 'আজ আমাদের নেড়াপোড়া কাল আমাদের দোল…'। আর সেই নিয়ম মেনে প্রতি বছরই দোলযাত্রার আগের দিন নেড়াপোড়ানো হয়। এবছর দোলযাত্রা পালিত হবে ১৪ মার্চ আর তার ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার হবে নেড়াপোড়া। শীতকে বিদায় জানিয়ে বসন্তকে আহ্বান জানানোর উৎসব হল নেড়াপোড়া। শীতের ঝড়ে যাওয়া নানা ধরনের শুকনো পাতা, ডাল, খড়, খেজুর গাছের পাতা, নারকেল গাছের পাতা প্রভৃতি দিয়ে একটা পুতুলের বানিয়ে দোলের আগের সন্ধ্যায় তা জ্বালানো হয়। দেশের নানান প্রান্তে এই দিনে ‘হোলিকা দহন’ও একইভাবে হয়।
নেড়াপোড়ায় আলু বা রাঙাআলু পুড়িয়ে ভোগ হিসাবে খাওয়ারও প্রচলন রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে হোলিকা দহনের গুরুত্ব অপরিসীম। মনে করা হয় হোলিকা দহনের আগুনে এই দিন সমস্ত অশুভ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই দিন বিশেষ কিছু প্রতিকার করতে পারেন, যা করলে ভালো উপকারও পাওয়া যেতে পারে।
১) হোলিকা দহনের আগুনে একটা শুকনো নারকেল দিতে পারেন। মনে করা হয় এর ফলে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন এবং আর্থিক উন্নতি ঘটে। বাড়িতে আর্থিক সমস্যা থাকলে তা দূর হয়।
২) প্রতিদিন দাম্পত্য কলহ লেগেই রয়েছে? দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা করেও আটকে রয়েছে বিয়ে? বাজারের কোনও দশকর্মার দোকান থেকে হোমের সামগ্রী কিনে এনে হোলিকা দহনের আগুনে দিতে পারেন, তাতে ভাল ফল পেতে পারেন।