শ্রীরামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের বাণীর ‘অপব্যাখ্যা' করায় নির্বাসিত হলেন অমোঘ লীলা দাস। ইসকনের তরফে এক মাস নির্বাসনে পাঠানো হল তাঁকে। বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে বক্তা হিসেবে সুপরিচিত অমোঘ লীলা দাস। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শ্রীরামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের বিভিন্ন বাণীর অপব্যাখ্যা করতে শোনা যায় তাঁকে। একই সঙ্গে দুই যুগপুরুষের খাদ্যাভ্যাস নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। ইসকনের তরফে এই শাস্তির খবর জানান ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস।
আরও পড়ুন: পুরুষ নয়, মহিলাদেরই বিপদ বেশি! আর্থ্রাইটিস নিয়ে কেন সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা
আরও পড়ুন: বাছা বাছা খাবার খেয়েও ফিরছে না যৌবন? ৪ কারণেই আসলে মিটছে না সমস্যা
কে এই অমোঘ লীলা দাস?
এই ব্রহ্মচারীর পূর্বাশ্রম সম্পর্কে যতদূর জানা যায়, ইনি লখনউয়ের একটি ধর্মীয় পরিবারে জন্ম নেন। অনেক সাক্ষাৎকারে, তিনি জানিয়েছেন, অল্প বয়স থেকেই তাঁর মধ্যে আধ্যাত্মিক টান আসে। পূর্বাশ্রমে তাঁর নাম ছিল আশিস অরোরা। বাবা ছিলেন ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর পদস্থ অফিসার। ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকেছেন। লখনউয়ে জন্ম হলেও বাবার বদলির চাকরির সুবাদে মিজোরাম, গ্যাংটক, দার্জিলিং ও আইজলের মতো জায়গায় কেটেছে স্কুলজীবন। ২০০০ সালে যখন তিনি দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়েন, তখন ঈশ্বরের সন্ধানে বাড়ি ছেড়েছিলেন। তবে পরে আবার গৃহ জীবনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। টুয়েলভ পাশ করার পর সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে স্নাতক হন। তারপরে আমেরিকার একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ শুরু করেন আশিস।
কীভাবে অমোঘ লীলা দাস হলেন আশিস অরোরা?
২০১০ সাল পর্যন্ত টানা কর্পোরেট দুনিয়াতেই কাজ করেছেন আশিস। কাজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি প্রোজেক্ট ম্যানেজারের পদে কাজ করছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর দুই বোনের বিয়েও হয়। তার পরেই ২৯ বছর বয়সে ব্রহ্মচারী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আশিস। কর্পোরেট দুনিয়া ছেড়ে ইসকনে যোগ দেন ও কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী হন। প্রসঙ্গত অমোঘ লীলা দাস বর্তমানে ইসকনের নিউ দিল্লির দ্বারকা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট। সুবক্তা হওয়ার সুবাদে দ্রুত বিখ্যাত হয়ে ওঠেন অমোঘ। ইঞ্জিনিয়ার থেকে সাধক হয়ে ওঠা অমোঘ দাস লীলাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক অনুরাগীই অনুসরণ করেন। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ব্রহ্মচারীর নানা মোটিভেশনাল ভিডিয়ো অনেক সময়ই ট্রেন্ডিং তালিকায় থাকে। তবে সাম্প্রতিককালের বেলাগাম মন্তব্যই তাঁকে ঠেলে দিল নির্বাসনের দিকে।