ব্যক্তিগত অফলাইন লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ২০০ টাকা, সিদ্ধান্ত RBI-এর

সোমবার ব্যক্তিগত অফলাইন লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা ২০০ টাকায় বেঁধে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, অফলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে শুধুমাত্র ২০০ টাকার কমে পরিমাণের অর্থ প্রদানই করা যাবে।এটি আরবিআইয়ের 'অফলাইন মোডে স্বল্প মূল্যের ডিজিটাল পেমেন্টের কাঠামো' শীর্ষক আলোচনার অংশ। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত কিছু সংস্থা ইতিমধ্যেই পাইলট পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে৷ গত ৬ অগস্ট, RBI একটি পাইলট প্রকল্পের অনুমতি দেয়। স্বল্প অঙ্কের লেনদেনে সহায়ক, এমন প্রযুক্তির উদ্ভাবনে উত্সাহ প্রদান করা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অন্যতম লক্ষ্য৷অফলাইন পেমেন্ট হল এমন একটি লেনদেন যার জন্য ইন্টারনেট বা টেলিকম সংযোগের প্রয়োজন হয় না। কেন্দ্রীক নিয়ন্ত্রক জানিয়েছে, অনুমোদিত পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর (PSO) এবং পেমেন্ট সিস্টেম অংশগ্রহণকারীদের (PSP) ছোট অঙ্কের অফলাইন ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধার্থে নতুন নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।একটি পেমেন্ট ইনস্ট্রুমেন্টে অফলাইন লেনদেনের মোট সীমা কোনও একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত হবে। AFA (অতিরিক্ত ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ) সহ একবার অনলাইন পেমেন্ট করলে তবেই ফের অফলাইনে এই পরিমাণ টাকা পাঠানো যাবে।আরবিআই জানিয়েছে, গ্রাহকের সুস্পষ্ট সম্মতির পরেই অফলাইন লেনদেনের জন্য অর্থপ্রদানের মাধ্যমগুলি সক্ষম করা হবে। এছাড়াও, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ঘোষিত একটি বিদ্যমান নিয়মও কিছুটা শিথিল করা হবে। কনট্যাক্টহীন লেনদেন চ্যানেল চালু করা ছাড়াই কার্ড ব্যবহার করে লেনদেনের অনুমতি দেওয়া হবে। ভারতে সস্তা স্মার্টফোনের বিক্রি এবং সস্তার ডেটা সংযোগের বৃদ্ধি হয়েছে। তবে ইন্টারনেট সংযোগ এখনও দেশের অনেক জায়গায় পৌঁছতে পারেনি৷ বিশ্ব ব্যাংকের সাম্প্রতিক ডেটা দেখায় যে ২০১৯ সালে, ভারতের জনসংখ্যার মাত্র ৪১%-এর কাছে একটি ইন্টারনেট সংযোগ ছিল। অতএব, অফলাইন পেমেন্টে জোর দেওয়ার জন্য RBI-এর পদক্ষেপ তাত্পর্যপূর্ণ। এটি চালু হলে স্মার্টফোন বা ডেটা সংযোগ ছাড়াই অনেক গ্রাহক লেনদেনের সুবিধা পাবেন। RBI গত কয়েক বছর ধরে অফলাইন অর্থপ্রদানের বিষয়ে কাজ করছে। পেমেন্ট এবং সেটেলমেন্ট সিস্টেমের জন্য আরবিআইয়ের ভিশন ডকুমেন্ট ২০১৯-২১-এও এটি অন্তর্ভুক্ত। উপভোক্তাদের আচরণ, চাহিদার পর্যবেক্ষণও করা হয়েছে। আরবিআই ২০১৯ সালের মে-তে প্রকাশিত নথিতে জানিয়েছে, ভারতীয়রা মোবাইল প্রযুক্তিকে আরও বেশি করে গ্রহণ করছে। ফলে সেটি ডিজিটাল অর্থপ্রদানের বৃদ্ধিকে চালিত করছে।