চলতি মাসে কনজিউমার ইলেকট্রনিক গুডসের কেনার ক্ষেত্রে এবার হয়তো একটু বেশি খরচ করতে হতে পারে। স্যামসাং, হ্য়াভেলস, বাজাজ ইলেকট্রনিক্স, ভি গার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সহ একাধিক কোম্পানির সামগ্রীর দাম হয় বেড়ে গিয়েছে বা সেগুলির দাম বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । ইকনমিক্স টাইমস সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
এদিকে গত ৯ মাস ধরে দাম একেবারে স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে দাম কিছুটা বাড়তে পারে। কিন্তু কেন এই দাম বৃদ্ধি?
এদিকে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স ইন্ডিয়ার তরফে তাদের ব্যবসায়ীক সহযোগীদের পাঠানো হোয়াটস অ্য়াপ মেসেজে বলা হয়েছে, … আগামী মাস থেকে( জুন মাস) হোম অ্যাপলিয়্য়ান্সের দাম ২.৫ শতাংশ বাড়তে পারে।
এসি, টিভি, ফ্রিজ সহ বিভিন্ন সামগ্রীর দামই বাড়তে পারে বলে খবর।
তবে এক্ষেত্রে একাধিক ফ্যাক্টর কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে..
কাঁচা মালের দাম ক্রমশ বেড়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই দেখা যাচ্ছে জিনিসপত্র তৈরির ক্ষেত্রেও খরচ ক্রমশ বাড়ছে। ২০-২৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে কাঁচামাল কপার, অ্যালুমিনিয়ামের দাম।
লোহিত সাগরে সমস্য়ার জন্য জিনিসপত্র পরিবহণের ক্ষেত্রে বিরাট সমস্য়া হচ্ছে। এর জেরে জিনিসপত্র পরিবহণ খরচ ক্রমশ বাড়ছে।
মার্কিন ডলারের নিরিখে টাকার দাম কমে যাওয়ার জেরে সমস্যা আরও বেড়েছে। এর জেরে আমদানির খরচও ক্রমশ বাড়ছে।
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে সামগ্রিকভাবে সেই প্রোডাক্টটি কী ধরনের তার উপর সেটির দাম ওঠার ব্যাপারটি নির্ভর করছে। হ্যাভেলসের এমডি অনিল রাই গুপ্তা জানিয়েছেন, কেবল ও তারের দাম বৃদ্ধির জেরে এয়ার কন্ডিশন ও ফ্রিজের দামও বাড়ছে। কপার ও অ্যালুমিনিয়ামের দাম বৃদ্ধিটাও একটা বড় কারণ। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে।
এমনকী কম্প্রেসর আর ওপেন সেল প্যানেলের দামও বাড়তে পারে। গোদরেজ অ্য়াপলিয়্যান্সের বিজনেজ হেড কমল নন্দী জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ইনপুট কস্ট বেড়েছে ২-৩ শতাংশ। এর জেরে দাম বাড়ছে। এটা না বৃদ্ধি করলে সম্ভব নয়। এদিকে টিভি প্রস্তুতকারকরাও ৪-৬ শতাংশ পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি করতে বাধ্য হচ্ছে কোম্পানিগুলি।
সব মিলিয়ে একের পর এক ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর দাম ক্রমশ বাড়তে পারে। তার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। তবে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে আগামী দিনে দাম কতটা বাড়তে পারে সেটাও দেখার।