অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞাপন থেকে বিরত থাকুন। সোমবার প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং ডিজিটাল এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে এমনই নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাজি এবং জুয়া দেশের 'বেশিরভাগ অংশে' অবৈধ। এটি আমজনতার জন্য উল্লেখযোগ্য আর্থিক ও আর্থ-সামাজিক ঝুঁকিপূর্ণ।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক বলেছে যে বৃহত্তর জনস্বার্থে এই সিদ্ধান্ত। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, সোশ্যাল এবং অনলাইন মিডিয়াতে বেটিং ওয়েবসাইট/প্ল্যাটফর্মের অজস্র বিজ্ঞাপন থাকে। সেই প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশিকা।প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যমকে অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনলাইন বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও মধ্যস্থতাকারী এবং প্রকাশক-সহ অনলাইন এবং সোশ্যাল মিডিয়াকেও দেওয়া হয়েছে এমন নির্দেশ। বলা হয়েছে, ভারতে এই জাতীয় বিজ্ঞাপন চালানো যাবে না।'বাজি এবং জুয়া খেলা, দেশের বেশিরভাগ অংশে অবৈধ। এগুলির গ্রাহকদের, বিশেষ করে যুবক এবং শিশুদের জন্য উল্লেখযোগ্য আর্থিক এবং আর্থ-সামাজিক ঝুঁকি হতে পারে,' বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক উল্লেখ করেছে যে অনলাইন বাজির বিজ্ঞাপনগুলি 'বিভ্রান্তিকর'। তারা কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাক্ট ২০১৯, কেবিল টেলিভিশন নেটওয়ার্কস রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৯৫-এর অধীনে বিজ্ঞাপন কোড এবং বিজ্ঞাপনের নিয়মের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। প্রেস কাউন্সিল আইন, ১৯৭৮-এর অধীনে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া দ্বারা নির্ধারিত আচরণবিধিও মানে না এটি।গত ৪ ডিসেম্বর, ২০২০-তে বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলির জন্যও নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে অনলাইন গেমিংয়ের বিজ্ঞাপনের জন্য অ্যাডভারটাইজিং স্ট্যান্ডার্ডস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (ASCI) নির্দেশিকা মেনে চলতে বলা হয়।এই ASCI নির্দেশিকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে কার্যকর হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে যে, টাকা জেতা, বাজি ধরা যাবে, এমন গেমিংয়ের বিজ্ঞাপন ১৮ বছরের কম বা ১৮ বছরের কম বয়সী বলে মনে হচ্ছে এমন কাউকে দেখানো যাবে না। বিজ্ঞাপনগুলি 'টাকা জেতার জন্য অনলাইন গেমিং'কে আয়ের সুযোগ বা একটি বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে উপস্থাপন করা যাবে না, বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনে এমন পরামর্শ দেওয়া উচিত নয় যে, গেমিং কার্যকলাপে নিযুক্ত ব্যক্তি অন্যদের তুলনায় বেশি সফল।