মারাদোনা আর বিতর্ক যেন সমার্থক । যতদিন ফুটবল বেচে থাকবে তাঁর 'হ্যান্ড অফ গড' ও বেচে থাকবে সমর্থকদের মনে। অবশ্যই একদল এই গোলটিকে বাচিয়ে রাখবেন বিতর্কের মধ্যে দিয়ে আর একদল বাচিয়ে রাখবেন ফুটবল শৈলির দোহাই দেখিয়ে।
প্রসঙ্গত ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ২-১ গোলে হারের মুখ দেখেছিল ইংল্যান্ড। ওই ম্যাচে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মারাদোনা স্বয়ং। ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম গোলটি তিনি করেছিলেন বিতর্কিত ভঙ্গিমায় । হেড করার বদলে হাত দিয়ে গোল করেছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। যাকে ‘হ্যান্ড অব গড’ বলে পরবর্তী কালে আখ্যা দিয়েছিলেন স্বয়ং আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
তবে এই গোলের পিছনে রয়েছে এক অজানা কাহিনী যা পরবর্তীতে সামনে এনেছিলেন মারাদোনা স্বয়ং। ১৯৮৬’র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক দিয়েগো মারাদোনা বলেছিলেন ভিএআর প্রযুক্তি থাকলে ওই গোলটার জন্য তিনি গ্রেপ্তারও হতে পারতেন। আর ওই গোলটির কারণেই দিয়েগো মারাদোনা নামটি ইংলিশদের কাছে চিরকালীন দুঃখের একটা জায়গা। ৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মারাদোনার জোড়া গোলেই হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে।
দুটি গোলের মধ্যে মারাদোনার প্রথম গোলটি ছিল বিতর্কিত ‘হ্যান্ড অব গড’! আর ঠিক তার পরেই দ্বিতীয়টি ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা। রবার্ট পিরেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মারাদোনা তার সেই বিতর্কিত গোল নিয়ে বলেছিলেন 'ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারির ব্যবস্থা থাকলে ওই গোলের জন্য গ্রেপ্তারও হতে পারতাম।'
সেদিন নিজের কৃতকর্মের জন্য সেই ম্যাচের রেফারি আলী বিন নাসেরের কাছে এর আগে ক্ষমা ও চেয়েছিলেন কিংবদন্তি। মেক্সিকোর অ্যাজটেকা স্টেডিয়ামে সেদিন ম্যাচের ৫১তম মিনিটে শূন্যে লাফিয়ে উঠে হাত দিয়ে গোল করেছিলেন মারাদোনা। হেডের ছলে তার হাতের টোকায় করা গোল এতটাই নিখুঁত ছিল যে রেফারি আলী বিন নাসেরের চোখ এড়িয়ে যায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।