চকোলেট ডে সবে গিয়েছে। তার মধ্য়েই সামনে এল একেবারে ভয়াবহ ছবি। মারাত্মক অভিযোগ সামনে এসেছে। হায়দরাবাদের এক বাসিন্দা মেট্রো স্টেশন চত্বর থেকে ক্যাডবেরি ডেয়ারি মিল্ক চকোলেট কিনেছিলেন। আর সেই চকেলেটের মোড়ক খুলতেই মিলল পোকা। অভিযোগ তাঁর। একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। রবীন জাকিউস নামে ওই ব্যক্তি এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো সামনে এনেছেন। সেই চকোলেট কেনার জন্য় যে বিল তিনি দিয়েছিলেন সেটাও দিয়েছেন তিনি। দাম নিয়েছিল ৪৫ টাকা। তাঁর দাবি আমিরপ্রিট মেট্রো স্টেশন থেকে তিনি ওই চকোলেট কিনেছিলে বলে দাবি করা হচ্ছে। তিনি লিখেছেন এই চকোলেটের ক্ষেত্রে কি কোয়ালিটি চেক করা হয়? সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য়ের ক্ষতি হলে তার দায় কে নেবে?
এদিকে এই পোস্ট কার্যত ভাইরাল হয়ে যায়। একজন লিখেছেন, ওদের বিরুদ্ধে মামলা করুন। ক্ষতিপূরণের দাবি করুন। একজন ভালো আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করুন। আপনি বড় ক্ষতিপূরণ পাবেন। এমনকী গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এই পোস্টের উত্তর দিয়েছেন। সেখানে লেখা হয়েছে, ফুড সেফটি টিম এই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। এই সমস্যা দ্রুত মেটানো হবে।
তবে ক্যাডবেরি ডেয়ারি মিল্কও এনিয়ে জবাব দিয়েছে। তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, মোনডেলেজ ইন্ডিয়া ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড( সাবেক ক্যাডবেরি ইন্ডিয়া লিমিটেড)মান রক্ষার জন্য সব চেষ্টা করে। কিন্তু আপনার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে আমরা খুব ব্যথিত। আপনার পুরো নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ও চকোলেট কেনার বিস্তারিত বিষয়গুলি জানিয়ে আমাদের ইমেল করুন। আমরা যাতে পদক্ষেপ নিতে পারি সেকারণে জানানোর জন্য ধন্য়বাদ।
এদিকে চকোলেট অনেকেরই প্রিয়। ছোট বড় অনেকের যেন চকোলেট ছাড়া চলে না। সেই নিরিখে এই পোস্টকে ঘিরে ব্যাপক উদ্বেগ ছড়ায়। একজন লিখেছেন, মনে হচ্ছে চকোলেটের উপর দুটি মোড়ক ছিল না। একটা মোড়ক থাকার জন্যই এই ঘটনা হয়েছে। তবে এটা একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। খাওয়ার আগে অবশ্য়ই সবটা দেখে নিন। কবে এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে সেটা দেখে তারপরই কিনুন।
অপর একজন লিখেছেন ভাগ্যিস এটা অন্ধ্রপ্রদেশে হয়নি! তাহলেই মুখ্য়মন্ত্রী আর তার সরকারের উপর দোষ দিত। অপর একজন লিখেছেন, পাশ্চাত্য হলে এই ক্যাডবেরিকে বিরাট ক্ষতিপূরণ দিতে হত। কিন্তু ভারত হওয়ার জন্য ইনস্পেক্টর ঘুষ খেয়ে বসে থাকবেন। কেউ কিছু করবে না।