এর আগে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে বারংবার বিএসএফকে বাধা দিয়েছে বিজিবি। এদিকে কোদালিয়া নদী দিয়ে ৫ কিলোমিটার এলাকাও নিজেদের বলে দাবি করেছিল বিজিবি। সেই বিজিবি এবার বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে বসে ইতিবাচক বার্তা দিল। ২৬ ফেব্রুয়ারি এই বৈঠকটি হয় বাংলাদেশের ঝিনাইদহের মহেশপুরের কুসুমপুর সীমান্তে। এর আগে এই ঝিনাইদহের মহেশপুরেই কোদালিয়া নদী নিয়ে বিবাদ হয়েছিল। তবে ২৬ তারিখের বৈঠকে অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও অস্ত্র পাচার রোখার বার্তা দেয় বিজিবি। বিএসএফের পক্ষ থেকে সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন কমান্ড্যান্ট চান্দে রাভনের নেতৃবাধীন ৮ সদস্যের দল। (আরও পড়ুন: সোদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু ২ মহিলার, একজনের মৃতদেহ মিলল নৈহাটিতে)
আরও পড়ুন: এমন ঘটনা কি আগেও ঘটেছে? পুনেতে বাসে পড়ে একাধিক কন্ডোম, অন্তর্বাস, মদের বোতল!
আরও পড়ুন: ঢাকা স্তব্ধ করার হুঁশিয়ারি, গভীর রাত পর্যন্ত পথে শিক্ষার্থীরা, শুরু নয়া আন্দোলন
এদিকে এর আগে কোদালিয়া নদীর যে এলাকা নিয়ে এত চর্চা হয়, সেটা ভারতীয় দিকে আছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রানাঘাটের বাগদা ব্লকে এই এলাকা অবস্থিত। এখানে কোদালিয়া নদীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আছে। সীমান্তের দু'দিকেই রেফারেন্স পিলারের দ্বারা এটা চিহ্নিত করা হয়েছে। বিগত কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের ভূমিকা অপরিবর্তিত থেকেছে। ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেউ নিতে পারেনি। ১৯৭৫ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে। এর আগে রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিজিবি দাবি করেছে যে কোদালিয়া নদীর প্রায় পাঁচ কিলোমিটার আদতে তাদের। সেই এলাকা বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মহেশপুর ৫৮-এর তৎকালীন বিজিবি ক্যাপ্টেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজুস শাহিদ। যদিও সাম্প্রতিক বিবৃতিতে বিএসএফ এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানিয়ে দেয়, এই ৫ কিলোমিটার এলাকা আদতে ভারতেরই অংশ। (আরও পড়ুন: পুনেকাণ্ডে প্রকাশ্যে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট, ধর্ষণ হয় দু'বার)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে মিলেছে প্রমাণ? মা-বাবা কেন হঠাৎ দিল্লির পথে?
আরও পড়ুন: পানাগড়কাণ্ডে সহযাত্রীদের ওপরও সন্দেহ? ‘নয়া দাবি’ শুনে সুতন্দ্রার মা বললেন…
উল্লেখ্য, এই কোদালিয়া নদী ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় দিয়ে। এরপর কিছু দূর বয়ে তা মহেশপুরের মাটিলা সীমান্ত দিয়ে আবার ভারতের রানাঘাটে প্রবেশ করে। এখানেই প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে 'মতপার্থক্য'। উল্লেখ্য, পূর্ব পাকিস্তান আমলে ১৯৬১ সালের মানচিত্রের বরাত দিয়ে বিজিবি দাবি করে, ওই ৫ কিলোমিটার এলাকা তাদের। আবার বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭৫ সালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী এই পাঁচ কিলোমিটার এলাকা ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তর্গত।