রাশিয়ায় সামরিক অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। আর এর জন্য পশ্চিমী দুনিয়াকে দুষেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জরুরি ভিত্তিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, 'রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিলে শাস্তি হবে'। তাঁর এই হুঁশিয়ারির পর এবার পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। এই আবহে একদা পুতিন ঘনিষ্ঠ ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেন, 'রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভুল করলেন। শীঘ্রই রাশিয়া নয়া প্রেসিডেন্ট পেতে চলেছে।' (আরও পড়ুন: 'দুধ-কলা দিয়ে সাপ পুষেছিলেন পুতিন', রুশ অভ্যুত্থানের 'মাথা' ইয়েভজেনি আদতে কে?)
এর আগে নিজের ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, 'রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে যাঁরা যাঁরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে, তারা প্রত্যেকে বিশ্বাসঘাতক। রাশিয়ার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে যেকোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমি রাজি। আমরা আরও শক্তিশালী ভাবে এই হামলাকে প্রতিহত করব। এর জন্য রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীরে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমী দুনিয়ার পুরো সামরিক, আর্থিক এবং গুপ্তচরবৃত্তির পরিকাঠামো আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। কিন্তু আমি রাশিয়ায় কোনওরকমভাবে গৃহযুদ্ধ বাঁধতে দেব না। তবে দক্ষিণ রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহরে অসামরিক ও সামরিক প্রতিষ্ঠান আটকে রেখেছেন ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। এই অবস্থায় নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য কঠিনতম লড়াই করছে রাশিয়া। নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য সেই লড়াই চলছে।'
আরও পড়ুন: ওয়াগনারের সঙ্গে হাত মেলাল রুশ সরকারের তৈরি বাহিনীও, কেন শুরু হল এই লড়াই?
এদিকে রাশিয়ার এই অভ্যুত্থানের ওপর নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। ফ্রান্স সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার ঘটনার ওপর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নজর রয়েছে। এদিকে কিয়েভের তরফে দাবি করা হয়েছে, এ তো সবে শুরু। অপরদিকে ব্রিটেনের তরফে বলা হয়েছে, রুশ সেনার আনুগত্যের পরীক্ষা হবে এই পরিস্থিতিতে। রাশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছে আমেরিকাও। জো বাইডেন বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির সঙ্গেও আমেরিকা যোগাযোগ শুরু করেছে। এদিকে পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশও এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক করছে নিজেদের মধ্যে।