আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এলেন পঞ্জাবের স্বঘোষিত ধর্মযাজক বাজিন্দর সিং। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। আর, এবার তাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলাকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল। যার নেপথ্যে রয়েছে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো।
সেই ভিডিয়োয় (এই ভিডিয়োর সত্যতা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা যাচাই করেনি) দেখা গিয়েছে, ছোট্ট শিশুকে কোলে নিয়ে বসে থাকা এক মহিলাকে হেনস্থা করছেন বাজিন্দর! তাঁর দিকে এক তাড়া কাগজ ছুড়ে মারছেন ওই স্বঘোষিত ধর্মযাজক! এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এক্স হ্যান্ডেলে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিয়োটি আসলে বাজিন্দরের অফিসে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। ২ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ওই ফুটেজে আগাগোড়া বাজিন্দরকে দেখে আক্রমণাত্মক মনে হয়েছে। অন্তত সোশাল মিডিয়ার ইউজাররা তেমনটাই বলাবলি করছেন।
ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বাজিন্দরের অফিসের ভিতর বিভিন্ন চেয়ার ও সোফায় অনেকে বসে রয়েছেন। প্রথমে তিনি এক যুবককে নিশানা করেন। ওই যুবকের দিকে কিছু একটা ছুড়ে মারেন তিনি। তারপর নিজের জায়গা থেকে উঠে আসেন। হাতের কাছে যা পান, তা দিয়েই ওই যুবকের উপর হামলা করেন। তারপরও যুবককে শারীরিক নিগ্রহ করেন।
এরপর শিশু কোলে বসে থাকা ওই মহিলাকে নিশানা করেন বাজিন্দর। তাঁকে কিছু কথা বলেন। তখনও তাঁর 'বডি ল্যাঙ্গুয়েজ' যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ছিল বলেই অভিযোগ নেট নাগরিকদের একাংশের। এরপর ওই মহিলার দিকে এক তাড়া কাগজ ছুড়ে মারতে দেখা যায় বাজিন্দরকে। মহিলা এরপর নিজের জায়গা থেকে উঠে এলে বাজিন্দর শারীরিকভাবেও তাঁকে হেনস্থা করেন। দু'জনের মধ্যে বিবাদ বাড়তেই বাকি সকলে একে একে উঠে আসেন বিষয়টি মিটমাট করাতে।
তবে, ঠিক কারণে এসব ঘটেছে, সেটা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। কারণ, শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, বাজিন্দর সিং এখনও পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। পুলিশের তরফ থেকেও এ নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সামনে আসেনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালের একটি যৌন নিগ্রহের ঘটনাতেও অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন এই বাজিন্দর। গত সপ্তাহেই সেই মামলার শুনানি ছিল। যার জন্য অন্য ছয় অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁকেও মোহালির আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছিল। গত ৩ মার্চ স্বঘোষিত এই ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় ওয়ারেন্টও জারি করা হয়েছিল।
২০১৮ সালের ২০ জুলাই দিল্লি বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বাজিন্দরকে। তাঁর বিরুদ্ধে জিরাকপুরের বাসিন্দা এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে লন্ডনগামী বিমানে ওঠার ঠিক আগেই বাজিন্দরকে সেই সময় পাকড়াও করেছিল পুলিশ।