আয়করে বিরাট ছাড়–সহ নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে। কিন্তু সেখানে গোপনে রয়েছে অস্বস্তিকর কিছু অ্যাজেন্ডা। নির্মলা সীতারামনের পেশ করা বাজেটে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে সারের ভর্তুকি। গত বাজেটে সারে ভর্তুকি ছিল ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা। এবারের বাজেট নথিতে দেখা যাচ্ছে, সেটা কমে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। তার উপর গ্রামবাংলায় আরও বেশি করে আবেদন করছে ১০০ দিনের কাজের জন্য। সেখানে গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পে (মনরেগা) বরাদ্দ বৃদ্ধি হল না এক টাকাও। গত বাজেটের সংশোধিত বরাদ্দ ছিল ৮৬ হাজার কোটি টাকা। এবারও সেই একই অঙ্ক।
প্রত্যেক নির্বাচনেই প্রচার করে থাকে মোদী সরকার যে, রেশনে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে চাল–গম। গত বাজেটে এই খাদ্যে ভর্তুকিতে বরাদ্দ ছিল ২ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা। সেটা এবারের বাজেটে ২ লক্ষ ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। যার অর্থ দাঁড়ায়, ভর্তুকিতে ছাঁটাই। আগের বাজেটে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল এলপিজি ভর্তুকিতে। এবার সেটা ১২ হাজার কোটি। আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম বাড়ছে বলা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আবার পেট্রপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পেট্রল–ডিজেলের দাম বাড়লে আরও চাপ বাড়বে।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক প্রয়াত, পলাশি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
এই একশো দিনের কাজ বাংলায় বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ। তার উপর এই প্রকল্পের বকেয়া টাকা এখনও দেয়নি। যা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলন করছে। আর নিজেদের তহবিল থেকে গ্রামীণ মানুষকে সেই বকেয়া টাকা দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেখানে জানা যাচ্ছে, ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি প্রকল্পে গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৮২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে চাহিদা বাড়ছে। ৩১ মার্চ আসতে বেশি দেরি নেই। সুতরাং এই প্রকল্পে আরও টাকা দরকার। সেখানে চলতি অর্থবর্ষে অতিরিক্ত বরাদ্দ নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। আর এবারের বাজেটে আগামী আর্থিক বছরের বরাদ্দও বাড়ানো হল না।