নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছিল ৮ টি চিতাবাঘকে। তাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই কোয়ারেন্টাই পর্ব শেষ করে ৩ টি চিতা চলে গিয়েছে কুনো ন্যাশনাল পার্কে।এবার আরও দুই চিতা সেখানে পা রাখল। আগে তিনটি পুরুষ চিতা বাঘকে ছাড়া হয়েছিল, এবার ২ টি স্ত্রী চিতা বাঘ সেখানের বড় এনক্লোজারে পৌঁছল। মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে সোমবার এই পর্ব সম্পন্ন হয়।
৩০ দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ করে চিতাবাঘ দুটি সোমবার পা রেখেছে কুনো ন্যাশনাল পার্কের আরও বড় এলাকায়। ফরেস্ট অফিসার পিকে ভর্মা একথা জানিয়েছেন। জানা যায়, প্রাথমিকভাবে ওই ৮ টি চিতাবাঘকে ছোট এনক্লোজারে প্রথমে রাখা হয়। যাতে তারা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খেয়ে নেয়। এটি আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে ওই চিতাদের প্রথমে ছোট জায়গায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। যাতে তাদের থেকে কোনও মতেই ভাইরাল ছড়িয়ে না পড়ে। এই আইসোলেশন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে সম্পন্ন হয়। একটি প্রাণি ভিন দেশে গেলে তাকে এভাবেই পরিচর্যা করা হয়। সেই নিয়মেই নামিবিয়া থেকে আনা ৮ টি চিতাকেও এভাবেই পরিচর্যা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আটটি চিতার মধ্যে ৩ টি পুরুষ ও ৫ টি স্ত্রী। সেই মহিলাদের মধ্যে ২ টিকে সদ্য ছাড়া হল কুনোয়।
উল্লেখ্য, আফ্রিকা থেকে এই চিতাদের আনা হয়েছে, যাতে ভারতে চিতার কমতে থাকা সংখ্যাকে বাড়ানো যায়। সেই উদ্যোগকে সঙ্গে নিয়েই আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে এই চিতাদের আনা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৫২ সাল থেকে এই প্রজাতি অবলুপ্তপ্রায় হিসাবে চিহ্নিত হতে শুরু করে। তারপর ২০২২ সালে এসে এই উদ্যোগ নেয় ভারত সরকার। ভারত সরকারের উদ্যোগে কুনো থেকে আনা হয় ৮ টি চিতা বাঘ। রীতিমতো বিশেষ হেলিকপ্টার করে তাদের ভারতে মাটিতে আনা হয়। জানা গিয়েছে বাকি চিতাবাঘদেরও কুনোর বড় এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হবে খুব শিগগির।