নয়া আইটি নীতি মানেনি টুইটার। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই নিয়ম অমান্য করছে সংস্থা। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের বিরুদ্ধে বুধবার বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। উত্তরপ্রদেশে বৃদ্ধকে গণপিটুনি এবং তার সঙ্গে টুইটারে ভুয়ো খবর-যোগের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।
টুইটারের বিরুদ্ধে এই ক্ষোভ উগরে দিলেন টুইটারেই। লম্বা থ্রেডে পরপর কয়েকটি টুইটের মাধ্যমে টুইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী।
তিনি লেখেন, 'এটা অভাবনীয়, যে টুইটার বাকস্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে নিজেদের তুলে ধরে, তারাই অন্তর্বর্তী নিয়ম-নীতি মানার ক্ষেত্রে ইচ্ছা করে অমান্য করে চলেছে।'
এ বিষয়ে বিদেশে ব্যবসা করা ভারতীয় সংস্থার উদাহরণ তুলে ধরেন রবিশঙ্কর। তিনি বলেন, 'ফার্মা হোক বা আইটি। ভারতের বিভিন্ন সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য দেশে কাজ করে। সেখানে তারা স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই সেখানকার আইন মেনে চলে। তাহলে টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মের ভারতে সেই নিয়ম-নীতি মেনে চলতে এত অনিচ্ছা কেন? এই নিয়মের মাধ্যমে অপব্যবহার রোধ করা হবে।'
তিনি এদিন স্পষ্ট করে টুইটারকে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, 'যদি নিজেদের বাকস্বাধীনতার প্রতীক বলে দাবি করা বিদেশী সংস্থা এখানে আইন না মেনেই চলবে ভাবে, তবে তারা ভুল করছে।'
টুইটারের মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়া, এবং তার ফলে অশান্তির বিষয় তুলে ধরেন রবিশঙ্কর। তিনি বলেন, 'টুইটার ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের বিষয়ে উত্সাহ দেখায়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মতো একাধিক ঘটনায় দেখা গিয়েছে ভুয়ো খবর রোধের ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপই করেনি সংস্থা।' এমন পরিস্থিতিতে এ জাতীয় সিদ্ধান্ত নিজেই নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছে টুইটার, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র নিজেদের পছন্দ অপছন্দের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পোস্ট ডিলিট করে টুইটার। কিন্তু প্রকৃত ভুয়ো টুইটের ক্ষেত্রে কোনও ব্যবস্থা করা হয় না।
উত্তরপ্রদেশের ঘটনা বলতে উস্কানিমূলক টুইটের ভিত্তিতে গাজিয়াবাদে এক বৃদ্ধকে মারধরের ঘটনার কথাই বলেন রবিশঙ্কর।