অবশেষে রাজ্যের সরকারি প্রতীক পেল ত্রিপুরা। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই সেই সরকারি প্রতীকটিকে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী দিনে এই সরকারি প্রতীক ত্রিপুরার ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করবে। বুধবার এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।
ভারতের জাতীয় প্রতীকের (অশোক স্তম্ভ) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই রাজ্য প্রতীকটির নকশা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সম্পূর্ণ প্রতীকের মূল অংশটি রয়েছে একটি বৃত্তের ভিতর।
সেই বৃত্তের ভিতরের অংশ ভরাট করা হয়েছে গেরুয়া রঙে। আর তার একেবারে মাঝখানে রয়েছে ত্রিপুরার মানচিত্রের আউটলাইন। তার ভিতরটা রয়েছে ফাঁকা। সেই ফাঁকা অংশের মাঝামাঝি আঁকা হয়েছে অশোক স্তম্ভ। যার নীচে লেখা রয়েছে 'সত্যমেব জয়তে'।
গেরুয়া রঙের বৃত্তের বাইরের অংশে সবুজ রঙে আরও একটি বৃত্তাকার রেখা আঁকা রয়েছে। আর একেবারে নীচে রয়েছে একটি রিবনের আকৃতিবিশিষ্ট ব্য়ানার। যেখানে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে, 'গভর্নমেন্ট অফ ত্রিপুরা'।
রাজ্য নতুন সরকারি প্রতীক পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। ডা. মানিক সাহার সেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ পেয়েছে তাঁর এক্স হ্যান্ডেল পোস্টের মাধ্যমে। সেখানে এই ঘটনাকে তিনি 'উল্লেখযোগ্য মাইলফলক' বলে আখ্য়ায়িত করেছেন।
ডা. সাহা লিখেছেন, 'ত্রিপুরা তার সরকারি প্রতীক পেয়েছে। রাজ্যের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। যা রাজ্যের পরিচিতির প্রতীক। এই প্রতীক গর্বের সঙ্গে ত্রিপুরার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে।'
প্রসঙ্গত, এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ত্রিপুরা সরকারকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হয়ে সেই চিঠি পাঠান সচিব দেবব্রত বসু। তিনি চিঠিটি পাঠান ত্রিপুরার তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগের সচিব পি কে চক্রবর্তীকে। সেই চিঠিতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্যের সরকারি প্রতীকটিকে অনুমোদন দিয়েছে মোদী সরকার।
সেই চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব জানান, ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তাতে ত্রিপুরার জন্য সরকারি প্রতীকের একটি নকশা পাঠানো হয়েছিল।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, ২০০৭ সালের সংশ্লিষ্ট নীতি অনুসারে, যা ২০১০ সালে ফের সংশোধন করা হয়, সেই নীতির ৪(২) নম্বর ধারার অধীনে ভারতের রাজ্য প্রতীক সংক্রান্ত নিয়মাবলী অনুসারে ত্রিপুরা সরকারের প্রস্তাব খতিয়ে দেখা হয়েছে।
সেই নিয়ম মেনেই ত্রিপুরা সরকারের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে মঞ্জুর করা হয়েছে বলেও ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে। তাই, এবার থেকে এই নয়া প্রতীক ত্রিপুরার সরকারি চিহ্ন হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।