বাংলাদেশ থেকে প্রত্যেক মাসেই ভারতে আসেন ওপারের নাগরিকরা। চিকিৎসার স্বার্থে এপারে অর্থাৎ ভারতে আসেন। ভারতের মধ্যে কলকাতায় এসে বেশিরভাগ মানুষ চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি যান। পদ্মাপারের সঙ্গে বাংলার এই ঘটনা বহুদিন ধরে ঘটে আসছে। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে বাস ও বিমান থাকলেও যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশের মানুষজনের প্রথম পছন্দ ট্রেন। এখন বাংলাদেশ থেকে সোজা ট্রেন আসে কলকাতায় এবং নিউ জলপাইগুড়িতে। এখন ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে চলাচল করে তিনটি ট্রেন। এই ট্রেন ধরে ভারতে আসতে হলেও পকেটে বাড়তি চাপ পড়বে বাংলাদেশের নাগরিকদের। কারণ এই ট্রেনগুলির ভাড়া বাড়তে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
বাংলাদেশ থেকে ভারত আসতে যে তিনটি ট্রেন আসে সেগুলি হল— মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস এবং মিতালি এক্সপ্রেস। ২০২৩ সালেই এই তিনটি ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয়। তখনই ওপার বাংলার মানুষের পকেটে চাপ পড়ে। সেটা প্রকাশ্যে এসেছিল। এবার সেই ট্রেনের ভাড়া আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির জেরে ভাড়া বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ১৫ জুন থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে বলে রেল সূত্রে খবর। এই বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (ইন্টারচেঞ্জ) মিহরাবুর রশিদ খান একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভাড়া বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন। ওই তিনটি ট্রেনের ভাড়া সর্বনিম্ন ৭০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩০৫ টাকা বাড়ানো হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে তৃণমূল কংগ্রেসকে সাফল্য দিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, জেতা আসন খোয়াল বিজেপি
ট্রেনের ভাড়া বেড়ে গেলে খরচ বেড়ে যাবে যাত্রীর। ফলে যে ট্রেনে করে বাংলায় বা ভারতে আসতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন বাংলাদেশের নাগরিকরা তাঁদের পকেটে চাপ পড়বে। সেক্ষেত্রে এপার বাংলায় এসে চিকিৎসা করানো কঠিন হয়ে পড়বে তাঁদের কাছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে কলকাতায় চলাচল করে মৈত্রী এক্সপ্রেস। তবে খুলনা থেকে কলকাতায় চলে বন্ধন এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাতায়াত করে মিতালি এক্সপ্রেস। মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি আসনের এখন ভাড়া ৪৯০০ টাকা। নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই আসনের ভাড়া হবে ৫১১০ টাকা। একধাক্কায় ২১০ টাকা বাড়ানো হচ্ছে। বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি আসনের ভাড়া ২৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৩০৫৫ টাকা।
তবে এসি চেয়ার কারের ভাড়া ৭০ টাকা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ২৩৭০ টাকা। মিতালি এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি আসনের এখন ভাড়া ৬৭২০ টাকা। সেটা বেড়ে হবে ৭০২৫ টাকা। যদিও সব ট্রেনেই পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য ভাড়ায় ৫০ শতাংশ ছাড় থাকছে। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল পথচলা শুরু করে মৈত্রী এক্সপ্রেস। বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয় ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর। আর মিতালি এক্সপ্রেস চালু করা হয় ২০২১ সালের ২৬ মার্চ। এই ট্রেন সপ্তাহে দু’দিন হলদিবাড়ি এবং চিলাহাটি রুট দিয়ে যাতায়াত করে। ট্রেনটি প্রত্যেক রবিবার এবং বুধবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ছাড়ে এবং সোমবার ও বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ছাড়ে।