বেঙ্গালুরুতে সদ্য এক ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয়েছে এক তরুণীর মৃতদেহের ৫০ টি টুকরো। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে, পুলিশ কর্ণাটকর ছাড়িয়ে ভিনরাজ্যে পা রেখেছিল, অভিযুক্তের খোঁজে। এদিন ওড়িশার ভদ্রকে বেঙ্গালুরুর ঘটনায় সন্দেহভাজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মুক্তিরঞ্জন রায় বেঙ্গালুরুর ঘটনায় সন্দেহভাজন ছিলেন। তাঁর দেহ এদিন ওড়িশার ভদ্রক থেকে উদ্ধার হয়েছে। ভদ্রকের এক গ্রামের মধ্যে একটি গাছে তাঁর দেহ ঝুলছিল বলে খবর। এর আগে বেঙ্গালুরুতে মহালক্ষ্মী নামে ওই মহিলার দেহের ৫০ টি খণ্ড উদ্ধার হয়। ফ্রিজে রাখা ছিল দেহ খণ্ড। তারপর থেকেই শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। স্থানীয়রা বলছেন, এলাকার বুয়াকাপুরা অঞ্চলের দুশিরি পুলিস স্টেশনের অন্তর্গত পান্ডি গ্রামে এই ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি, বুধবার পান্ডি গ্রামে তার বাড়িতে আসে। পরের দিন দুই চাকার এক গাড়িতে সে বেরিয়ে যায়। তারপরই ভদ্রকে একটি গাছ থেকে তার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুুরুতে মহালক্ষ্মী খুনের পর থেকেই নিখোঁজ ছিল মুক্তিরঞ্জন। কর্ণাটক পুলিশের একটি দল তাকে খুঁজতে ওড়িশা যায়। কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ জানিয়েছেন, পুলিশ ওই আততায়ীর খোঁজ পেয়েছিল। আর তাকে ধরে খুনের কিনারা করতে এগিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। তারপরই এই মৃত্যুর খবর সামনে আসে।
কেন মুক্তিরঞ্জন ছিল সন্দেহে?
যে অফিসে মহালক্ষ্মী কাজ করতেন সেখানে তিনি শেষবার গিয়েছিলেন ১ সেপ্টেম্বর। ১ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ওই অফিসে যাওয়া বন্ধ করে দেন মুক্তিরঞ্জনও। পুলিশের অনুমান ছিল মহালক্ষ্মীকে ২ কিম্বা ৩ সেপ্টেম্বর খুন করা হয়েছে। পুলিশের এও অনুমান ছিল যে, যে অফিসে মহালক্ষ্মী কাজ করতেন, সেই অফিসেই মুক্তিরঞ্জন কাজ করতেন। সেই সূত্রেই তাঁদের আলাপ। এদিকে, সদ্য শনিবার মহালক্ষ্মী যে বাড়িতে বেঙ্গালুরুতে থাকতেন, তার আশপাশে পচা গন্ধ বের হতে থাকে। তখনই প্রতিবেশীরা খবর দেন পুলিশে। তারপর পুলিশ সেখানে পৌঁছে ফ্রিজ থেকে মহালক্ষ্মীর দেহের ৫০ টুকরো উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান, মাসের শুরুর দিকে মহালক্ষ্মীকে খুন করা হয়। আর তা করে তাঁর দেহ ফ্রিজে টুকরো করে রেখে দেওয়া হয়।