কলেজে হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা। আর এর বিরোধিতায় এবার কর্ণাটক হাই কোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করলেন এক পড়ুয়া। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর থেকেই কর্ণাটকের উডুপি জেলার এক সরকারি কলেজে হিজাপ পরা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেই কলেজের ছয় পড়ুয়াকে হিজাব পরায় ক্লাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকের তরফে। এরই বিরোধিতায় এবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক পড়ুয়া।
নিজের পিটিশনে আবেদনকারী পড়ুয়ার দাবি, হিজাব পরা তাঁ মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। সংবিধানের ১৪ ও ২৫ নম্বর ধারাতে নিজের ইচ্ছে মতো পোশাক পরার অধিকার এবং নিজের ইচ্ছে মতো ধর্মাচরণের অধিকার নিশ্চিত করা রয়েছে বলে দাবি করেছেন আবেদনকারীর আইনজীবী।
উল্লেখ্য, প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে উডুপির সরকারি কলেজের ছয় পড়ুয়ারে হিজাব পরার কারণে ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কলেজের ইউনিফর্ম কোড ভঙ্গের কারণেই নাকি তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই আবহে দাখিল করা পিটিশনে যোগ করা হয়েছে যে ধর্মীয় বিষয়ে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করার অধিকার শুধুমাত্র তখনই আছে যখন এটার সঙ্গে জনশৃঙ্খলা, নৈতিকতা এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত একটি বিষয় জড়িত থাকে। তবে এখানে এরকম কোনও বিষয়ই জড়িত নয় বলে দাবি করা হয়েছে পিটিশনে। বলা হয়েছে, সংবিধানের ২৫(১) ধারায় দেশের নারীদের ধর্মাচারণের অংশ হিসেবে নিজের ইচ্ছে মতো পোশাক পরার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। পিটিশনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে হিজাব পরার জন্য ছাত্রীদের ক্লাসে যোগ দিতে না দেওয়ার কলেজের সিদ্ধান্ত তার ব্যাচমেটদের এবং কলেজের অন্যান্য ছাত্রদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করে। আবেদনকারীর আইনজীবীর যুক্তি, এই ধরনের বিতর্ক ছয় ছাত্রীর মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করবে। এই আবহে আবেদনকারী ছয় ছাত্রী তারা কলেজকে তাদের ধর্ম পালনের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ না করার জন্য হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা চেয়েছেন। এর মধ্যে তাদের হিজাব পরার অধিকারও অন্তর্ভুক্ত।