আবার একবার ভয়ঙ্কর ধস নামল সিকিমে। এখন বর্ষাকাল চলছে। তাই মাঝেমধ্যে ঝেঁপে বৃষ্টি হচ্ছে। আর এই বৃষ্টির জেরেই ধস নেমে বিপত্তির সৃষ্টি করছে পাহাড়ি পর্যটন কেন্দ্রে। এবার পরিস্থিতি একটু জটিল আকার ধারণ করল। কারণ এই ধস নামার ফলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল তিস্তা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বড় অংশ। আজ, মঙ্গলবার সকালে তিস্তা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বড় অংশ ভেঙে পড়ের ঘটনাটি ঘটেছে বালুতার এলাকায়। আর তাতেই আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। সিকিমবাসী এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। কারণ কিছুদিন আগেই ঝড়বৃষ্টির দাপটে বিধ্বস্ত হয়েছিল সিকিম।
সিকিমবাসী দেখেছেন ভয়াবহ প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলা। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল শহর থেকে গ্রাম। রাস্তার পর রাস্তা জলের তলায় চলে গিয়েছিল। তার প্রভাব পড়েছিল দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়িতে। তাই আজকের এই ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। গত কয়েকটি সপ্তাহ ধরে সিকিমের নানা প্রান্তে ধসের জেরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, আজকের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছিল নজিরবিহীন। কারণ আজকের ধসের জেরে পাহাড় সংলগ্ন ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশনের তিস্তা স্টেজ–৫ বাঁধটি ভেঙে পড়েছে। এটাই সিকিমবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। আর যদি ঝড়বৃষ্টি হয় তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে।
আরও পড়ুন: তদন্তে কেন এত দেরি হচ্ছে? সিবিআই অফিসাররা আরজি কর হাসপাতালে ঢুকতেই প্রশ্ন চিকিৎসকদের
এই বাঁধ ভাঙার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। তারপর তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই দৃশ্য দেখতে নেটপাড়ার সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তার জেরে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিডিয়ো। আর তা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পর্যটকরা। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, আজ সকালে পাহাড়ের বিশাল অংশ ভেঙে পড়ছে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপরে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিস্তার স্টেজ ৫ বাঁধটি। মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ে বাঁধের বড় অংশ। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
এই ঘটনার পর ওই এলাকা থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা হিসাবে সকল কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে একাধিকবার ধস নেমেছে সিকিমে। বানভাসী পরিস্থিতি হয়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। রাস্তা মেরামতের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রাখতে হয়েছিল এই রুট। তার জেরে বিপাকে পড়েন সিকিমগামী পর্যটকরা। সেবক থেকে তিস্তা যাওয়ার সময়ও একাধিক জায়গায় জাতীয় সড়ক তিস্তার জলে তলিয়ে যায়। বিপর্যস্ত হয় সিকিমের লাইফলাইন এই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শুধু তাই নয়, ধসের জেরে সেবক–লাভা–আলগাড়া হয়ে গ্য়াংটকে যাতায়াত চলছিল। চলতি বছরে নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় ধসের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।