মার্চের আগেই বাংলাদেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। এমনই দাবি করলেন আওয়ামি লিগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।ভিডিয়োবার্তায় তিনি দাবি করেছেন, হাসিনার আমলে বাংলাদেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মহম্মদ ইউনুসদের আমলে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। তাঁর কথায়, 'আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের দেশে আগামী এক মাসের মধ্যে পরিবর্তন হতে চলেছে। এই বিষয়টা নিশ্চিত যে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ইনশাল্লাহ মার্চ মাসের আগেই বাংলাদেশে আসবেন।'
যদিও কীভাবে তিনি সেই কথা জানতে পারলেন, তা খোলসা করেননি মৌলভীবাজার ২-র সাংসদ। কোনও মন্তব্য করেননি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বা তাঁর ছেলে সাজিব ওয়াজেদ জয়। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের তরফেও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
হাসিনার ফেরা নিয়ে কী বলল বাংলাদেশ?
বরং বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রফিকুল আলম দাবি করেছেন, হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যে চিঠির প্রাপ্যতা স্বীকার করেছে নয়াদিল্লি। তবে এখনও কোনও উত্তর আসেনি। ঢাকা ভারতের প্রত্যুত্তরের অপেক্ষায় আছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।
কার্যত ‘যোগাযোগহীন’ অবস্থায় হাসিনা!
সূত্রের খবর, ২৩ ডিসেম্বর ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের কাছে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর আর্জি জানিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের সরকার। গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে তিনি ভারতের হিন্দন বায়ুঘাঁটিতে অবতরণ করেন হাসিনা। সেখান থেকে যান দিল্লির 'সেফ হাউস'-এ। তখন থেকে কয়েকবার ভার্চুয়াল বার্তা এবং বিবৃতি দেওয়া ছাড়া পুরোপুরি ‘যোগাযোগহীন’ অবস্থায় আছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি, বাতিল পাসপোর্ট
সেই আবহে যখন ঢাকা হাসিনাকে ফেরানোর আর্জি জানিয়েছে, তারইমধ্যে ভারতীয় সরকার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। 'হিন্দুস্তান টাইমস'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাম গোপন রাখার শর্তে বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে ভারতে যাতে থাকতে পারেন, সেজন্য হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে যে জল্পনা ছড়িয়েছিল একটি মহলে, তা খারিজ করে দিয়েছেন আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আশ্রয়ের মতো ব্যাপার নিয়ে ভারতের নির্দিষ্ট কোনও আইন নেই।