দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অষ্টমীর দিন দুপুর নাগাদ মন্দিরের যান প্রধানমন্ত্রী সেখানে নাচেগানে তাঁকে বরণ করে নেওয়া হয়। মন্দিরে উপস্থিত দর্শনার্থী এবং পুরোহিতদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শেখ হাসিনা।
উৎসবের দিনে তাঁকে কাছে পেয়ে বাঙালি হিন্দুরা আপ্লুত। প্রধানমন্ত্রী পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নেন পুজো ঠিকমতো চলছে কিনা। কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না তাও জানাতে চান হাসিনা। এদিন প্রধানমন্ত্রীর হাসিনার সঙ্গে ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক-সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী রবিবার আরও কয়েকটি পুজো দেখবেন। এদিন অষ্টমী উপলক্ষে মন্দিরে কুমারী পুজো হয়। হাসিনা কুমারীদের আশীর্বাদ করেন। এখন তুলনামূলক ভাবে দুর্গাপুজোর সংখ্যা বেড়েছে বাংলাদেশে। মন্ডপে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
(পড়তে পারেন। রাস্তা জুড়ে বিশাল আলপনা! ছবি ভাইরাল হতেই মুগ্ধ নেটিজেনরা)
অষ্টমীর দিন সকাল থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রচুর জনসমাগম হয়। সকাল থেকেই রীতিমতো লাইন পড়ে যায় মন্দিরে ঠাকুর দেখার জন্য। অনেকেই আবার অঞ্জলীও দেন। দুপুর নাগাদ মন্দিরে হাজির হন হাসিনা।
ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পুজো
মহাষ্টমী উপলক্ষে ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার সকাল ৬টা ১০ থেকে অষ্টমীর পুজো শুরু হয়। সাড়ে দশটায় শুরু হয় পুষ্পাঞ্জলী। বেলা ১১টা শুরু হয় কুুমারী পুজো। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে এই পুজো চলে। পরে প্রসাদ বিতরণ হয় ভক্তদের মধ্যে। রাজধানীর নবেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী শতাক্ষী গোস্বামীকে এবছর কুমারী হিসাবে পুজো করা হয়।
শান্তিতে হচ্ছে দুর্গাপুজো
গত বছর বাংলাদেশে দুর্গাপুজোকে ঘিরে একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লা-সহ কয়েকটি জেলায় মূর্তি ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। তাই এ বছর গোড়া থেকে হাসিনা সরকার সাবধানী পদক্ষেপ করেছে। মূর্তিভাঙার যেকোনও রকম গুজব থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পুজোর কয়েকটা দিন মণ্ডপ ও হিন্দুদের বাড়িঘরে বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধামন্ত্রী নিজেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে খোঁজ খবর নিলেন অষ্টমীদিন।