চাকরিজীবীদের পাশাপাশি পেনশনভোগীদের জন্যেও স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বৃদ্ধি করা হয়েছে এবারের বাজেটে। এমনিতে নয়া আয়কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানো হয়েছে এবারের বাজেটে। এরই সঙ্গে ফ্যামিলি পেনশন প্রাপকদের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানো হয়েছে। এই আবহে যে সকল প্রবীণ নাগরিকরা আয়কর দিয়ে থাকেন, তাঁরা স্বস্তি পাবেন। ২৩ জুলাই ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশের সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন, যে সব করদাতা ফ্যামিলি পেনশন পেয়ে থাকেন, তাঁদের স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ১০ হাজার বাড়ানো হবে। এর আগে ফ্যামিলি পেনন প্রাপকদের স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ছিল ১৫ হাজার টাকা। এবারের বাজেটে তা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হল। (আরও পড়ুন: ২০০১-এর আগে কেনা বাড়ি বিক্রিতে LTCG-র ওপর বজায় থাকবে ইন্ডেক্সেশন, জানাল সরকার)
আরও পড়ুন: 'আয়কর ফাঁকির উপায়' বন্ধ হল বাজেটে, জেনে মাথায় হাত পড়তে পারে অনেকের
আরও পড়ুন: বার্ষিক আয় ১৫ লাখ হলে কোন আয়কর কাঠামোয় লাভ বেশি? নতুন না পুরনো... বুঝে নিন হিসেব
গতকাল বাজেটে নয়া আয়কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এই ২৫ হাজার ছাড় বৃদ্ধির ফলে কোন কর কাঠামোয় আয়করদাতারা বেশি লাভবান হবেন? যদি কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকা হয়, তাহলে পুরনো আয়কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (৫০ হাজার), হাইজ প্রপার্টি লস (২ লাখ), ৮০সি (দেড় লাখ), ৮০ডি (৫০ হাজার) বাদ দিয়ে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এই আবহে তাঁকে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ আয়কর দিতে হবে। সঙ্গে ৫১০০ টাকা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস দিতে হবে। অর্থাৎ মোট দিতে হবে ১ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ টাকা। আর নতুন আয়কর কাঠামোয় ১৫ লাখ আয় থেকে বাদ যাবে শুধুমাত্র ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন। এই আবহে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ৫ হাজার টাকা সেস সহ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা কর দিতে হবে। অর্থাৎ, নতুন আয়কর কাঠামোয় ২৬০০ টাকা কম কর দিতে হবে। (আরও পড়ুন: বাজেটের আবহে বাড়তে পারে এই ২৮টি শেয়ারের দাম, বিনিয়োগের আগে নজর বুলিয়ে নিন একবার)
আরও পড়ুন: আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হল NPS-কে, চাকরিজীবীদের জন্য বড় সুবিধার ঘোষণা বাজেটে
আরও পড়ুন: বদল বহু নিয়ম, কর নিয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত বাজেটে, যে ১০টি বিষয় না জানলেই নয়
এদিকে বাজেটে নয়া আয়র কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বৃদ্ধির আগে বার্ষিক ১৫ লাখ টাকা আয় করা ব্যক্তিকে ১৪ লাখ ৫০ হাজর টাকার ওপরে আয়কর দিতে হত। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস মিলিয়ে যা কি না হত ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ টাকা। অর্থাৎ, আগের তুলনায় এখনও ১৫ হাজার ৬০০ টাকা কম আয়কর দিতে হবে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বৃদ্ধি পাওয়ায়। আর নতুন আয়কর কাঠামোয় ২০ লাখ আয় থেকে বাদ যাবে শুধুমাত্র ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন। এই আবহে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ১০ হাজার ৭০০ টাকা সেস সহ ২ লাখ ৭৮ হাজার ২০০ টাকা কর দিতে হবে। অর্থাৎ, যাঁর বার্ষিক আয় ২০ লাখ টাকা, তাঁকে নতুন আয়কর কাঠামোয় ১০ হাজার ৪০০ টাকা কম কর দিতে হবে। (আরও পড়ুন: বাজেটে তুলে নেওয়া হল 'অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স', সরকারের এই পদক্ষেপে প্রশংসায় বিরোধীরাও)
আরও পড়ুন: বাতিল আয়কর আইনের এই ধারা, TDS-এর বোঝা থেকে মুক্ত মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীরা
এদিকে একই ভাবে যে ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৩০ লাখ টাকা, তাঁকেও নয়া কর কাঠামোয় ১০ হাজার ৪০০ টাকা কম কর দিতে হবে। এদিকে বাজেটে নয়া আয়র কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বৃদ্ধির আগে বার্ষিক ১৫ লাখ টাকা আয় করা ব্যক্তিকে ১৪ লাখ ৫০ হাজর টাকার ওপরে আয়কর দিতে হত। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস মিলিয়ে যা কি না হত ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ টাকা। অর্থাৎ, আগের তুলনায় এখনও ১৫ হাজার ৬০০ টাকা কম আয়কর দিতে হবে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বৃদ্ধি পাওয়ায়।