রেলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে রাহুল গান্ধী রেলের যে চালকদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তারা কেউ দিল্লি ডিভিশনের নয়। তাদের বাইরে থেকে আনা হয়েছিল। তবে ট্রেন চালকদের ইউনিয়ন বিষয়টি মানতে চায়নি। নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে রাহুল গান্ধী লোকো পাইলট ক্রু লবির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। নর্দার্ন রেলওয়ের মুখ্য় জনসংযোগ আধিকারিক জানান, মনে হচ্ছে রাহুল গান্ধী যাঁদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁরা নিউ দিল্লির রেল স্টেশনের ক্রু লবির কেউ নন।
সিপিআরও দীপক কুমার বলেছিলেন মনে হচ্ছে বাইরে থেকে তাদের আনা হয়েছিল।
মূলত স্টেশনে লোকো পাইলটদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তবে লোকো পাইলটদের সংগঠন সিপিআরওর দাবি মানতে চাননি। তাদের দাবি লোকো পাইলটরা কে কোন লবির সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ তাদের দাবির ব্যাপারটা একেবারেই একই রকম।
অল ইন্ডিয়া লোকো রানিং স্টাফ অ্য়াসোসিয়েশনের সাউথ জোনের প্রেসিডেন্ট আর কুমারেসান জানিয়েছেন, আমি অত্যন্ত বিনম্রভাবে বলছি যে রাহুল গান্ধী সমস্ত ডিভিশনের লোকো পাইলটদের সঙ্গে দেখা করেছেন। শুধু দিল্লির নন তাঁরা।
তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী ক্রু লবিতে এসেছিলেন। সেখানে রেস্ট রুমও রয়েছে সেখানে অন্য ডিভিশনের লোকো পাইলটরাও আসেন। সকলের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে লোকো রানিংমেন অর্গানাইজেশনের কোষাধক্ষ্য কমলেশ সিং জানিয়েছেন, সমস্ত ডিভিশনের লোকো পাইলটদের সমস্যা প্রায় সমান। দীর্ঘ ডিউটির সময়, সাপ্তাহিক ছুটি না মেলা, ওয়াশরুম না থাকা, লাঞ্চ ব্রেক না থাকা, এটা সমস্ত ট্রেন চালকদের সমস্যা। সেক্ষেত্রে তিনি কোন ডিভিশনের লোকো পাইলটের সঙ্গে দেখা করলেন সেটা বড় ব্যাপার নয়।
আইআরএআরও-র কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় পান্ধী রেলের সমস্ত রানিং রুমে সমস্ত ডিভিশনের লোকো পাইলটরা বিশ্রাম নেন। আর একজন এমপি তিনি সকলের সঙ্গেই দেখা করতে পারেন। আর রাহুল গান্ধী চলে যাওয়ার পরেই রেলের আধিকারিকরা দিল্লি স্টেশনে এসে আমাদের সঙ্গে দেখা করেন ও সমস্যাগুলি জানতে চান।