Bangladesh market: ‘রমজানে বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না’ আশ্বাস উপদেষ্টার

বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ওপর সামনেই রমজান মাস। এই অবস্থায় দ্রব্যমূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় নাগরিকরা। তবে রমজানের আগে নাগরিকদের স্বস্তির বার্তা দিল বাংলাদেশ সরকার। রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না বলে আশ্বাস দিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা এস কে বশির উদ্দিন। তিনি জানান, দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য উল্লেখযোগ্যভাবে মজুত রয়েছে। এছাড়াও আমদানিতে কোনও ঘাটতি নেই। ফলে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না বলেই তিনি আশ্বস্ত করেছেন। আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের সময় হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালনা! কাঠগড়ায় ব়্যাবঢাকার একটি হোটেলে ‘খাদ্য পণ্যের যুক্তিসঙ্গত মূল্য নির্ধারণ: বাজার তদারকি কৌশল অনুসন্ধান’ শীর্ষক একটি নীতি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন সরকারের বিভিন্ন আধিকারিক, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ নাগরিকরা। সেখানে বক্তৃতা রাখার সময় বশির জানিয়েছেন, ছোলা, তেল, চিনি এবং খেজুরের মতো খাদ্যপণ্য রমজানের সময় বাজারে সহজেই পাওয়া যাবে। তাছাড়া, বাংলাদেশি বাজারে খাদ্য সামগ্রীর দাম যেভাবে বাড়ছে তা নিয়ে সমালোচনা করছেন তিনি। উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বিভিন্ন পণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও স্থানীয় বাজারের যা অবস্থা তাতে আসলে দাম হ্রাস করা উচিত। তিনি বলেন, ‘দাম বাড়ার কোনও কারণ নেই। আমরা যুক্তিসঙ্গত মূল্য নির্ধারণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেছি। এই কৌশলগুলি বাস্তবায়নের জন্য স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয় পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।’ এছাড়াও, তিনি উপভোক্তাদের সমর্থন এবং ন্যায্য বাজার অনুশীলন নিশ্চিত করার জন্য নীতিগুলির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।উপদেষ্টা বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিযোগিতা কমিশন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এবং বাংলাদেশের ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবি) সহ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। উপদেষ্টা আরও বলেন, ভোক্তাবান্ধব বাজার তৈরি করার জন্য ট্যারিফ কমিশন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করছে। তিনি জানান, প্রতিযোগিতামূলক বাজার গড়ে তুলতে হবে। এরজন্য তিনি স্থানীয় উৎপাদক, আমদানিকারক এবং ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।এদিকে, রাইস ব্র্যান অয়েল ভারতে রফতানির ওপর কর বাড়ানোর কথা তুলে ধরেন উপদেষ্টা। তিনি জানান, আগে ভারতে ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টন রাইস ব্রান অয়েল রফতানি করা হতো। তবে সরকার এখন রফতানির ওপর ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রক কর আরোপ করেছে। তিনি বলেন, যে এই তেল স্থানীয় বাজারকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।