পহেলগাঁও জঙ্গিহানার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। তারমধ্যেই ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে শেহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি। এই আবহে যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং উড়ানের সময় উন্নত সেবা প্রদানের উপর জোর দিয়েছেন বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ।
আরও পড়ুন-আগ্রায় বিরিয়ানি দোকানের কর্মীকে গুলি, ভাইরাল ভিডিয়োয় শোনা গেল ‘পহেলগাঁওয়ের বদলা’
শনিবার বিমান সংস্থাগুলির জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ডিজিসিএ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 'সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক আকাশসীমা বন্ধ এবং ওভার-ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞার কারণে বিমান পরিচালনা প্রভাবিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিমানগুলির উল্লেখযোগ্য রি-রুটিং, নির্ধারিত সময়ের তুলনায় ব্লক-টাইম বৃদ্ধি এবং পরিচালনাগত বা জ্বালানি প্রয়োজনের জন্য পথে প্রযুক্তিগত স্টপেজের সম্ভাবনা রয়েছে।'
যাত্রীদের সমস্যা কমাতে, ডিজিসিএ বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন ফ্লাইটের সময়সূচি এবং রুট পরিবর্তন সম্পর্কে যাত্রীদের অগ্রিম জানায়। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 'বিমান সংস্থাগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে যে সমস্ত যাত্রীকে আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রুট পরিবর্তন এবং মোট প্রত্যাশিত ভ্রমণ সময় (যাত্রা শুরু থেকে পৌঁছানো) সম্পর্কে সক্রিয়ভাবে অবহিত করা হয়।' এছাড়া, যাত্রীদের মধ্যবর্তী বিমানবন্দরে সম্ভাব্য প্রযুক্তিগত স্টপেজ সম্পর্কে জানাতে হবে এবং উল্লেখ করতে হবে যে প্রযুক্তিগত স্টপেজ পরিচালনাগত প্রকৃতির এবং সাধারণত যাত্রীরা এই সময় ফ্লাইটের মধ্যেই থাকবেন।
আরও পড়ুন-আগ্রায় বিরিয়ানি দোকানের কর্মীকে গুলি, ভাইরাল ভিডিয়োয় শোনা গেল ‘পহেলগাঁওয়ের বদলা’
বিমান সংস্থাগুলিকে চেক-ইন কাউন্টার, বোর্ডিং গেট এবং সম্ভব হলে এসএমএস বা ইমেল অ্যালার্টের মাধ্যমে এই আপডেটগুলি দিতে হবে। এছাড়া, ডিজিসিএ বিমান সংস্থাগুলিকে ফ্লাইটের দীর্ঘ সময়কালের জন্য ক্যাটারিং সেবা সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে পুরো যাত্রায় পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় পাওয়া যায়।
ডিজিসিএ জানিয়েছে, 'বিমান সংস্থাগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে যে ক্যাটারিং প্রত্যাশিত ব্লক-টাইমের (প্রযুক্তিগত স্টপেজ সহ) ভিত্তিতে সংশোধন করা হয়, যাতে পুরো সময়কালের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় থাকে।' এছাড়া, ফ্লাইটে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং উপযুক্ত ফার্স্ট-এইড কিট থাকার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বিলম্ব বা মিসড কানেকশনের সম্মুখীন যাত্রীদের সহায়তার জন্য বিমান সংস্থাগুলিকে তাদের কল সেন্টার এবং রিজার্ভেশন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ডিজিসিএ জোর দিয়েছে যে বিমান সংস্থাগুলিকে বিকল্প ভ্রমণ ব্যবস্থা এবং প্রভাবিত যাত্রীদের সহায়তা প্রদানের জন্য প্রোটোকল তৈরি করতে হবে।